নয়াদিল্লি: এতদিন বিশাখাপত্তনমে নিজেদের হোম ম্য়াচ খেলতে নামছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এই প্রথমবার চলতি আইপিএলে নিজেদের সত্যিকারের ঘরের মাঠে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে পন্থ বাহিনী। কিন্তু শুরুটা কিন্তু একদমই ভাল হল না তাঁদের। বলা ভাল দিল্লি বোলারদের জন্য একদমই সুখর ছিল না খেলার শুরুর ২০ ওভার। প্রতিপক্ষ যখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, সেখানে আশঙ্কা তো ছিলই। সেটাই সত্যি হল। পাহাড়প্রমাণ রান বোর্ডে তুলল হায়দরাবাদ শিবির। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান বোর্ডে তুলে নিল তারা। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। সানরাইজার্সের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন যথারীতি অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড। বেশিরভাগ ম্য়াচেই এবার ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমেছিলেন হেড। একের পর এক ম্য়াচে ঝোড়াে ইনিংস দেখা গিয়েছে তাঁর। এদিনও তাঁর ব্য়তিক্রম হল না। ক্রিজের ২ প্রান্ত থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করেন অরেঞ্জ আর্মির ২ ওপেনার। মাত্র ৫ ওভারেই একশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় সানরাইজার্স। মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন এদিন হেড। অভিষেক আরও ভয়ঙ্কর ছিলেন। আজ দ্রুততম অর্ধশতরান হাঁকানোর রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারতেন এই বাঁহাতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ৪৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষেক। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি তরুণ ব্যাটার।


অভিষেক আউট হওয়ার পর মারক্রাম ও ক্লাসেন বেশি রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রথম জন ১ রান ও দ্বিতীয় জন এদিন ১৫ রান করেন। তবে নীতিশ রেড্ডি এদিন ফের প্রয়োজনের সময় দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে দুটো বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকান তিনি। এদিনও শতরানের সুযোগ ছিল হেডের সামনে। কিন্তু ৩২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ১১টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান অজি তারকা। শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন শাহবাজ আহমেদ। ২টো বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি।


দিল্লি বোলাররা এদিন কেউই ছিলেন না ছন্দে। খালিল নিজের ৩ ওভারের স্পেলে ৫১ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। কুলদীপ ৪ উইকেট নিলেও নিজের চার ওভারে ৫৫ রান খরচ করেন। মুকেশ ১ উইকেট নেন। তিনিও ৪ ওভারে ৫৭ রান খরচ করেন।