হায়দরাবাদ: চলতি আইপিএলে দুশোর ওপর রান বোর্ডে তোলাটা যেন অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে সব দলই। বিশেষ করে সানরাইজার্স (Sunrisers Hyderabad) ও রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। আজ এই দুটাে দলই ২২ গজে মুখোমুখি হতে চলেছে। বিশেষ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) তো আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক রান এক ম্য়াচে ২৮৭ বোর্ডে তুলে দিয়েছিল একটি ম্য়াচে। আজ নিজেদের ঘরের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ। হায়দরাবাদ শিবিরের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট ওপেনিংয় জুটি। অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) ও ট্রাভিস হেড (Travis Head) ওপেনিং পার্টনারশিপে এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন প্রতি ম্য়াচে যে সেখানেই বোর্ডে গুচ্ছ গুচ্ছ রান যোগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু সানরাইজার্স সমস্য়ায় পড়ে যাচ্ছে যখনই তাঁদের ওপেনারর খেলতে পারছেন না। 


আর এখানেই আজ রাজস্থান রয়্যালস চাপে ফেলতে পারে কামিন্স বাহিনীকে। রাজস্থানের বোলিং লাইন আপ দুর্দান্ত। বোল্ট, বার্গার তো আছেনই। এছাড়াও সন্দীপ শর্মা, আবেশ খান ও অভিজ্ঞ চাহালের স্পিনের সামনে চাপে পড়তে পারে হায়দরাবাদ ব্যাটিং লাইন আপ। পাওয়ার প্লে-তে বোল্ট প্রতি ম্য়াচেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলছেন। হেড ও অভিষেকের মধ্যে একজনকে ফেরালেই কিন্তু চাপ বাড়বে কমলা বাহিনীর। মারকুটে ব্যাটিং করলেও মাঝের ওভারে সন্দীপের স্লোয়ার ও চাহাল-অশ্বিন জুটির সামনে কতটা সাবলীল দেখাবেন ক্লাসেন, তা সন্দেহ রয়েছে। বল হাতে প্যাট কামিন্স আগের দুটা ম্য়াচেই প্রচুর রান খরচ করেছেন। অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমারও নামের সুবিচার করতে পারেননি সেভাবে।


 






অন্যদিকে রাজস্থান শিবিরে বাটলার ফর্মে ছিলেনই। এখন ফর্মে ফিরেছেন জয়সওয়ালও। আগের ম্য়াচে স্যামসন ও ধ্রুব জুড়েল মাঝের ওভারে ধীর স্থির মনোভাবের সঙ্গে ম্য়াচ জিতিয়ে দিয়েছেন। স্যামসনের ধারাবাহিকতাই তাঁকে টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে দিয়েছে। লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন ধ্রুব। 


এখনও পর্যন্ত ১৮ বার দুটা দল মুখোমুখি হয়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে কথা বলেনি। ৯টি ম্য়াচ হায়দরাবাদ ও ৯টি ম্য়াচ রাজস্থান জিতেছে। দুটাে দলেই চোট আঘাতের কোনও খবর নেই।