লখনউ: আইপিএলের মঞ্চে ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ম্য়াচ জেতা এমন কোনও কঠিন কাজ না। বিশেষ করে এই মরশুমেই যেখানে প্রায় একটি ম্য়াচে পাঁচশোর বেশি রান উঠেছিল একটি ম্য়াচে। কিন্তু এই রানটা তাড়া করতে নেমেই ম্য়াচ ৩৩ রানে হেরে গেল গুজরাত টাইটান্স (Gujrat Titans)। ১৬০ প্লাস স্কোর বোর্ডে তুলে সেই রান ডিফেন্ড করে প্রায় ১৩ বার ম্য়াচ জিতল কে এল রাহুলের (K L Rahul) দল। আর তার থেকেও বড় কথা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপারজায়ান্টস। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের নায়ক তরুণ যশ ঠাকুর। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানেই অল আউট হয়ে গেল শুভমন গিলের দল।


অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু আজ মূল পরীক্ষা ছিল গুজরাতের মিডল অর্ডারের। ডেভিড মিলার ছিলেন না আজ। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহার বদলে দলে নেওয়া হয়েছিল তরুণ উইকেট কিপার শরথকে। গিলের সঙ্গে এদিন ওপেনে নেমেছিলেন সাই সুদর্শন। দু জনে মিলে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন। লখনউয়ের তরুণ পেস সেনশেসন ময়ঙ্ক যাদব প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচ করেন। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল যেই ছেলে দেড়শোর ওপর গতি তুলে চমকে দিয়েছিলেন, তিনি এদিন একশো চল্লিশেও ঠিক করে বল করতে পারছিলেন না। এরপরই মাঠ ছেড়েও বেরিয়ে যান ময়ঙ্ক। পরে জানা যায় যে সাইড স্ট্রেনের সমস্যার জন্যই আর মাঠে নামেননি ২১ বছরের পেসার। লখনউ শিবিরের চিন্তা বাড়ে এরপর কে দায়িত্ব নেবে বল হাতে ম্য়াচ জেতাতে। ঠিক তখনই উঠে আসেন বিদর্ভের ২৫ বছরের পেসার যশ ঠাকুর। ময়ঙ্কের মাঠে না থাকার অভাব বুঝতেই দিলেন না। বরঞ্চ নিজের ৩.৫ ওভারের স্পেলে ৩০ রান খরচ করে তুলে নিলেন প্রতিপক্ষের ৫টি উইকেট। ম্য়াচ একাই গুজরাতের হাত থেকে কেড়ে নেন তরুণ ডানহাতি পেসার। সাই ৩১, গিল ১৯ রান করেন। রাহুল তেওয়াটিয়া ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন লোয়ার অর্ডারে। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান রাহুল। ১৮.৫ ওভারে ১৩০ রানে শেষ হয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার গুজরাত তাঁদের সব উইকেট হারাল একটি ম্যাচে। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠে এল লখনউ। অন্যদিকে গুজরাত ৫ ম্য়াচের মধ্যে ২টো জয় তিনটি হার নিয়ে সাতে নেমে এল।