জেড্ডা: লখনউ সুপারজায়ান্টসে (Lucknow Supergiant) তিনি যে থাকবেন না আর, তার আভাস মিলেছিল গত মরশুমেই। মাঠেই যেভাবে লখনউয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা তাঁকে ভর্ৎসনা করেছিলেন, তা ভালভাবে নেননি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এই পরিস্থিতিতে রিটেনশনের তালিকাতে স্বাভাবিকভাবেই রাহুল ছিলেন না। নিলামে ২ কোটি বেস প্রাইস রাখা রাহুলকে শেষ পর্যন্ত ১৪ কোটি টাকা মূল্যে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কর্ণাটকী ব্যাটারকে নেওয়ার দৌড়ে ছিল কেকেআরও। কিন্তু ১০ কোটির ওপরে দর উঠে যাওয়ার পরই আর রাহুলের জন্য ঝাঁপায়নি নাইট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
নিলামে রাহুলের জন্য প্রথম থেকেই ঝাঁপিয়েছিল কেকেআর। ২ কোটি বেস প্রাইস ছিল রাহুল। এরপর সেই দৌড়ে ঢুকেছিল আরসিবি। ৯ কোটি টাকা মূল্য পর্যন্ত আরসিবি ও কেকেআর দৌড়ে ছিল। কিন্তু ১১ কোটির অঙ্কে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই কেকেআর দৌড় থেকে বেরিয়ে যায়। এরপরই ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যে যখন দর উঠেছিল। এরপর সিএসকে ১২ কোটি ১৫ লক্ষ দর তোলে। তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসই বাজিমাত করে। ১৪ কোটি টাকা মূল্যে দিল্লি শিবিরে যোগ দেন রাহুল। লখনউ কোনও আরটিএম কার্ড ব্যবহার করেনি রাহুলকে নিতে।
মিচেল স্টার্ক দিল্লি ক্যাপিটালসে
দিল্লি ক্যাপিটালসে আগামী মরশুমে আইপিএলে দেখা যাবে মিচেল স্টার্ক। এবারে কেকেআরের রিটেনশনের তালিকায় স্টার্ক ছিলেন না। গত মরশুমে গোটা টুর্নামেন্টে খুব একটা ভাল খেলতে না পারলেও সেমিফাইনাল থেকে জ্বলে উঠেছিলেন স্টার্ক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুটো ম্য়াচেই বল হাতে রীতিমত দাপট দেখিয়েছিলেন তারকা পেসার। কিন্তু ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ মূল্যের পারফরম্য়ান্স একেবারেই তাঁর থেকে পাওয়া যায়নি। এদিন নিলামের টেবিলে স্টার্ককে নেওয়ার জন্য প্রথমে আগ্রহ দেখিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২ কোটি বেস প্রাইসের স্টার্কের দর ৬ কোটিতে যখন তখন দিল্লির সঙ্গে কেকেআরের লড়াই চলতে থাকে। কিন্তু স্টার্ককে ১০ কোটির বেশি মূল্যে হয়ত নিতে চায়নি নাইট ফ্র্যাঞ্চাইজি। শেষ পর্যন্ত ১০ কোটির অঙ্ক পেরিয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত কেকেআর লড়াই থেকে সরে আসে। গতবার নিলাম থেকে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যে স্টার্ককে দলে নিয়ছিল কেকেআর। কিন্তু এবার অবশ্য তাঁর অর্ধেক দামেই দিল্লি ক্যাপিটালস দলে নিয়ে নিল অজি পেসারকে।
আরও পড়ুন: কোনও স্পিনার যা কখনও করে দেখাতে পারেননি! আইপিএলে নতুন মাইলফলক চাহালের