সন্দীপ সরকার, কলকাতা: যুবভারতী স্টেডিয়ামে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ফের কলকাতার মাঠে নামছে আর এক সুপার জায়ান্ট, থুড়ি, সুপার জায়ান্টস। নামের শুরুতে যতই লখনউ থাকুক না কেন, দলের মালিক কলকাতার। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন, এরকম দু'জন ক্রিকেটার রয়েছে দলে। আকাশ দীপ ও শাহবাজ আমেদ। দলের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishab Pant) সোমবার স্বয়ং যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়ে মোহনবাগানের জয় দেখে এসেছেন। ব্যাটে রান পাচ্ছেন না আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। তবু আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন।
তবে গত কয়েক মরশুমের মতো ইডেনে (Eden Gardens) সবুজ-মেরুন জার্সি পরে নামছে না লখনউ। খেলছে নিজেদের প্রথাগত জার্সি পরেই। আর সামনে এমন এক দল, যারা গত আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন। এবার খেতাবরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে। আগের ম্যাচেই ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দুরমুশ করে হারিয়েছে।
মঙ্গলবার টস জিতে লখনউকেই প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠালেন অজিঙ্ক রাহানে। বিকেলের রোদে ইডেনের উইকেটে যাতে কেকেআর স্পিনাররা ফায়দা নিতে পারেন, সেই ভেবেই কি এই সিদ্ধান্ত? চর্চা চলতে পারে। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যেন স্পিন ত্রিফলা নিয়ে নেমেছিল কেকেআর, এই ম্যাচে অতটা সাহসী পথে হাঁটল না নাইট শিবির। মঈন আলির পরিবর্তে দলে ফেরানো হল অস্ট্রেলীয় পেসার স্পেনসার জনসনকে।
প্রতিপক্ষের শক্তি বুঝেই কি দলে পরিবর্তন? লখনউ দলে রয়েছেন দুই স্পিনার। রবি বিষ্ণোই। রিস্টস্পিনার ভারতীয় দলেও খেলেছেন। উইকেট নিতে সিদ্ধহস্ত। সঙ্গে রয়েছেন নোটবুক সেলিব্রেশনে হইচই ফেলা দিগ্বেশ সিংহ রাঠি। প্রতিপক্ষের স্পিন ফলাও যে বেশ ধারাল, সেটা বুঝেই হয়তো আগের ম্যাচের মতো উইকেটের বায়না করেনি কেকেআর। বরং উইকেট থেকে পেসাররাও সাহায্য পাবেন বলেই পূর্বাভাস।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশ
কুইন্টন ডি'কক (উইকেটকিপার), সুনীল নারাইন, অজিঙ্ক রাহানে (অধিনায়ক), বেহ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিংহ, আন্দ্রে রাসেল, রামনদীপ সিংহ, বৈবব অরোরা, স্পেনসার জনসন, হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের একাদশ
মিচেল মার্শ, এইডেন মারক্রাম, নিকোলাস পুরান, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার ও অধিনায়ক), আয়ূষ বাদোনি, ডেভিড মিলার, আব্দুল সামাদ, শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, আবেশ খান ও দিগ্বেশ সিংহ রাঠি।