সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রেকর্ড বুক বলছে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ দশ সাক্ষাতে আটবার জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR vs SRH)। শুধু গত আইপিএলের কথা ধরলে, তিনে তিন। জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল কেকেআর। লিগ পর্বে, কোয়ালিফায়ারে ও ফাইনালে - তিন-তিনবার নিজামের শহরকে ধরাশায়ী করেছিলেন নাইটরা।
অথচ এবারের আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে এমন থরহরিকম্প নাইট শিবিরে যে, ইডেনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল। আর সেই কারণে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিন স্পিনারে খেলার সিদ্ধান্ত নিল কেকেআর। সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তী তো ছিলেনই। তৃতীয় স্পিনার হিসাবে দলে এলেন মঈন আলি। পেসার স্পেনসার জনসনের পরিবর্তে। যে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল এবিপি লাইভ বাংলা।
বৃহস্পতিবার ইডেনে কেকেআরের প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গত আইপিএলের ফাইনালে যাদের হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। আর হায়দরাবাদ মানেই ব্যাটিং লাইন আপে একের পর এক বিভীষিকা। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন তো ছিলেনই, এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঈশান কিষাণের নাম। গতবার আইপিএলে ট্র্যাভিষেক জুটিকে জব্দ করতে কেকেআর প্রয়োগ করেছিল মিচেল স্টার্ক-অস্ত্র। এবার স্টার্ক হাতছাড়া। পরিবর্তে যাঁকে নেওয়া হয়েছিল, সেই অনরিক নখিয়া আনফিট। স্পেনসার জনসন খেলছেন। কিন্তু তিন ম্যাচে ৫০ বলে ৮৭ রান খরচ করে ফেলেছেন অস্ট্রেলীয় পেসার। ঝুলিতে মোটে এক উইকেট।
অগত্যা ইডেনে জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া কেকেআর শিবির ঘূর্ণি-জাল বিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। কেকেআর বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচের জন্য যে বাইশ গজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তা শুকনো, খটখটে। পিচে বল পড়ে লাফাবে, নীচু হবে, ঘুরবে বলে পূর্বাভাস। আর সেই পিচে একজন বাড়তি স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিল নাইট শিবির। সেই জন্যই স্পেনসার জনসনকে বসিয়ে মঈন আলিকে নামিয়ে দেওয়া। নারাইন-বরুণ-মঈন স্পিন ত্রিফলায় প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করার কৌশল কেকেআরের।
কেকেআরের প্রথম একাদশ
কুইন্টন ডি'কক (উইকেটকিপার), সুনীল নারাইন, অজিঙ্ক রাহানে (অধিনায়ক), বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিংহ, অঙ্গকৃষ রঘুবংশী, মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, রামনদীপ সিংহ, হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী।
সম্ভাব্য ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার - মণীশ পাণ্ডে, বৈভব অরোরা, অনুকূল রায়, রোভম্যান পাওয়েল ও লুভনিথ সিসোদিয়া
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশ
অভিষেক শর্মা, ঈশান কিষাণ, নীতীশ কুমার রেড্ডি, অনিকেত বর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন (উইকেটকিপার), কামিন্দু মেন্ডিস, সিমরজিৎ সিংহ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), হর্ষল পটেল, মহম্মদ শামি ও জিশান আনসারি
সম্ভাব্য ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার - অভিনব মনোহর, জয়দেব উনাদকাট, ট্র্যাভিস হেড, রাহুল চাহার ও উইয়ান মাল্ডার।