SRH vs RR Live: স্যামসন ও জুরেলের হাফসেঞ্চুরিতেও রাজস্থানের হার, জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল সানরাইজার্স
SRH vs RR: এর আগে দুই দলের ২০টি ম্যাচে সানরাইজার্স ১১টি ও রাজস্থান রয়্যালস নয়টি ম্যাচ জিতেছে।
৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে ফিরলেন হেটমায়ার। শেষমেশ ছয় উইকেটে ২৪২ রানে থামল রাজস্থান। ৪৪ রানে ম্যাচ জিতে নিল সানরাইজার্স।
টি-২০ ম্যাচে তো মুহূর্তেই রঙ বদলে যায়। ফের একবার প্রমাণিত হল। পরপর তিন উইকেট হারানোর পর জুরেল ও স্যামসনের শতরানে পার্টনারশিপে বেশ লড়াই চালাচ্ছিল রাজস্থান। তবে তিন বলের ব্যবধানে প্রথমে ৬৬ রানে স্যামসন ও পরে ৭০ রানে জুরেল সাজঘরে ফেরেন।
২৮ বলে অর্ধশতরান পূরণ করলেন ধ্রুব জুরেল। পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে লড়াই চালাচ্ছে রাজস্থান রয়্যালস। ১৩ ওভার শেষে স্কোর ১৫১/৩। ১৩তম ওভারে উঠল ২৬ রান।
অল্পরানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারানোর পর রাজস্থানের হয়ে জুরেল ও স্যামসন লড়াই করছেন। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান পূরণ করলেন স্যামসন। ইনিংসের মাঝপথে রাজস্থানের স্কোর ১১৮/৩।
নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে নীতীশ রানা শুরুটা ভাল করতে পারলেন না। ১১ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। সাফল্য পেলেন মহম্মদ শামি।
প্রথম ওভারে শুরুটা ভালই করেছিল রাজস্থান। তবে দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট হারালেন তাঁরা। নিজের প্রথম ওভারেই যশস্বী জয়সওয়াল ও রিয়ান পরাগকে ফেরালেন সিমরণজিৎ সিংহ। ২ ওভার শেষে স্কোর ২৫/২।
মাত্র দুই রানের জন্য নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে পারল না সানরাইজার্স। রাজস্থানের বিরুদ্ধে আইপিএলের সর্বকালীন ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৬ রান তুলে ইনিংস শেষ করল সানরাইজার্স।
স্বপ্নের শুরু। নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে শুরুটা যে এমনভাবে করবেন, তা কি ঈশান কিষাণও ভাবতে পেরেছিলেন। সানরাইজার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই তাঁর ব্যাট থেকে ৪৫ বলে এল সেঞ্চুরি।
ক্লাসেনের ১৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস শেষ হল। একেবারে বাউন্ডারিতে ধরা দিলেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে ২৫০ রানের গণ্ডি পার ককে ফেলেছে সানরাইজার্স।
দ্বিতীয় সাফল্য পেলেন থিকসানা। ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরলেন নীতীশ রেড্ডি। ২০২ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল সানরাইজার্স।
৬৭ রানে হেড ফিরলেও হায়দরাবাদের হয়ে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন ঈশান কিষাণ ও নীতীশ রেড্ডি। ১৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ১৯৬/২।
মাত্র সাত ওভারে ১০০ রান পূরণ করে ফেলল সানরাইজার্স। অবিশ্বাস্য লাগলেও পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই উঠল ৯৪ রান। ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন ট্র্যাভিস হেডও। ৮ ওভার শেষে স্কোর ১১৫/১।
হেড-অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী পার্টনারশিপ ভাঙল। থিকসানার বলে বড় শট মারতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বসেন অভিষেক। ২৪ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হল।
প্রথম দুই ওভারেই নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন দুই সানরাইজার্স ওপেনার। দুই ওভার শেষে স্কোর বিনা উইকেটে ২৪ রান।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক রিয়ান পরাগ
প্রথম তিন ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন সম্পূর্ণ ফিট নন। তিনি সম্ভবত ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে মাঠে নামবেন। তাই তিন ম্যাচে রাজস্থানের হয়ে রিয়ান পরাগকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে।
এর আগে দুই দলের ২০টি ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষেমাঠে নেমেছে রাজস্থান রয়্যালস। তার মধ্যে সানরাইজার্স ১১টি ও রাজস্থান নয়টি ম্যাচ জিতেছে।
প্রেক্ষাপট
হায়দরাবাদ: গত বারে নিজেদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। দু'শো রানের গণ্ডি পার করাটা যেন ছেলেখেলার মতোই হয়ে উঠেছিল তাঁদের জন্য। গত বছর ফাইনালে উঠেও খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল বটে, তবে অনেকের মতেই এই আইপিএল মরশুমে (IPL 2025) প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স টুর্নামেন্টের সবথেকে বড় দাবিদারদের একজন। খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নিঃসন্দেহেই শুরুটা ভালভাবে করতে আগ্রহী হবে নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এই পথে তাঁদের কাঁটা রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)।
রাজস্থান রয়্যালসের দিকে এবারের টুর্নামেন্টে সকলের বাড়তি নজর রয়েছে। কারণ দুইটি ডাগ আউটে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা রাহুল দ্রাবিড়ের উপস্থিতি এবং নিলামের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে বিক্রি হওয়া বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে শুধু খেলাই নয়, সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেছেন বিহারের এই তরুণ ক্রিকেটার। আইপিএলে বিশ্ববন্দিত তারকাদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমে বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার বৈভব কেমন খেলেন, সেই দেখতে তাই সকলেই মুখিয়ে।
রাজস্থান অবশ্য টুর্নামেন্টের প্রথম তিনটি ম্যাচে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে পাবে না। স্যামসন সম্পূর্ণ ফিট নন। তাই তাঁকে কেবল ব্যাটার হিসাবে সম্ভবত ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে দেখা যাবে। তিনি সম্পূর্ণ ফিট হলে আবার অধিনায়কও হবেন। তবে প্রথম তিন ম্যাচে স্যামসনের অনুপস্থিতিতেও কিন্তু তারুণ্যের ওপরেই আস্থা রাখা হয়েছে। প্রথমবার আইপিএলে অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে রিয়ান পরাগকে। সন্দীপ শর্মা, তুষার দেশপাণ্ডের পাশাপাশি জোফা আর্চার দলে থাকলেও তাঁর ফিটনেস ও ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে হাসারাঙ্গা ও থিকসানা, দুই লঙ্কানদের নিয়ে তৈরি রাজস্থানের স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী।
থিকসানারা নতুন বল হাতেও পটু। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী জুটিকে শুরুতেই থামাতে কিন্তু রাজস্থান নতুন বলেই স্পিনের দিকে তাকাতে পারে। দুই বাঁ-হাতি ওপেনারের পর এ মরশুমে সানরাইজার্স ঈশান কিষাণকে দলে নিয়েছে। এছাড়া হেনরিখ ক্লাসেন, নীতীশ রেড্ডি, অভিনব মনোহরদের নিয়ে তৈরি দলের মিডল অর্ডারেও কিন্তু বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। সানরাইজার্স ফাস্ট বোলিং বিভাগ অন্তত খাতায় কলমে ঈর্ষণীয়। মহম্মদ শামি ও কামিন্সের মতো দুই বিশ্ববন্দিত ফাস্ট বোলার রয়েছেন। বৈচিত্র যোগ করার জন্য রয়েছেন হর্ষল পটেল, জয়দেব উনাদকাট। স্পিনবিভাগে একটু হলেও উদ্বেগ আছে বৈকি। তবে জাম্পা নিজের আন্তর্জাতিক ফর্ম আইপিএলে দেখাতে পারলে সেই নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন পড়বে না।
সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পটভূমি তৈরি। দুই দলের মধ্যে পরিসংখ্যানের নিরিখে পার্থক্য করাও কঠিন। অতীতে ২০ ম্যাচে সানরাইজার্স ১১ বার জয় পেয়েছে আর রাজস্থান জিতেছে নয়টি ম্যাচ। তাই সবকিছুই কিন্তু এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -