আবুধাবি: বয়স ২৯ বছর। এর আগে কখনও আইপিএলের মঞ্চে খেলেননি। এই প্রথমবার আইপিএলের নিলামে নাম দিয়েছিলেন। আর প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন। ৩০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস ছিল। সেখান থেকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দরে আকিব নবিকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন গত দুই মরশুমে। জম্মু কাশ্মীরের জার্সিতে একের পর এক ম্য়াচে দাপট দেখিয়েছেন বল হাতে।
এদিন নিলামে প্রথম আকিবের জন্য দর হাঁকায় রাজস্থান শিবির। সঙ্গে সঙ্গে যোগ দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্রুত ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছিল দর। রাজস্থান দৌড় থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু আরসিবি লড়াইয়ে নামে দিল্লির সঙ্গে। মাঝে ২ কোটি পেরিয়ে যাওয়ার পর লড়াইয়ে আসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলে আসেন আকিব।
তরুণ ই পেসার নতুন বলে দারুণ স্যুইং করাতে পারেন বল। এছাড়াও পুরনো বলেও দক্ষ তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। ২০২৫-২৬ রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম পাঁচ সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় নাম ছিল আকিবের। তিনি ৯ ইনিংসে ২৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ২৪ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট, তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
এদিকে, প্রাক্তন নাইট বেঙ্কটেশ আইয়ারকেও এবার নিলাম থেকে দলে নিল আরসিবি। এদিন নিলামের দিনই সৈয়দ মুস্তাক আলির সুপার লিগ পর্বের ম্যাচে পাঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্কটেশের মধ্যপ্রদেশ। সেইখানেই প্রথমে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। দলের হয়ে ওপেন করেন নামেন বেঙ্কটেশ। তাঁর ব্যাট থেকে ৪৩ বলে ৭০ রানর ঝাঁ চকচকে ইনিংস আসে। ১৬২.৭৯ স্ট্রাইক রেটে খেলা বেঙ্কটেশের ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চার এবং দুইটি ছক্কায়। বেঙ্কটেশ রান পেলেও রজত পাতিদার মাত্র ২০ রানের ইনিংস খেলেই সাজঘরে ফেরেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে মধ্যপ্রদেশ আট উইকেটের বিনিময়ে ২২৫ রান তোলে। পুণে ম্যাচ জেতার জন্য পাঞ্জাব দলের সামনে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই ছিল। পাঞ্জাবের হয়ে এদিন ওপেন করা হারনুর সিংহ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। আনমোলপ্রীতের ৩৮, সলিল আরোরার ৫০ রানের ইনিংসের পরেও ম্যাচ ৫০-৫০ ছিল। শেষের দুই ওভারে পাঞ্জাবের জয়ের জন্য আরও ২৩ রানের প্রয়োজন ছিল, হাতে ছিল দুই উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেই জ্বলে উঠেন রমনদীপ সিংহ। তাঁর ইনিংসের দৌলতেই শেষমেষ প্রাক্তন নাইট বেঙ্কটেশের দলকে হারায় পাঞ্জাব। তিনি ২১ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন।