কলকাতা: তিনটি মরশুম কেকেআরের কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন। এবার সময় ফুরলো। নাইটদের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ২০২২ সালে কেকেআরের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত। ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের টেস্ট ফর্ম্য়াটে কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রঞ্জিজয়ী ভারতীয় কোচ। কিন্তু আইপিএলে নাইট কোচ হিসেবে সাফল্য পাননি তেমন। ২০২৪ সালে আইপিএলে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হলেও সেখানে সিংহভাগ কৃতিত্ব ছিল মেন্টর গৌতম গম্ভীরেরই। গত আইপিএলে গম্ভীর ছিলেন না দলের সঙ্গে। আর পারফরম্য়ান্সও একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল কেকেআরের। এরপরই ২৯ জুলাই অফিশিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দায়িত্ব শেষের বিষয়টি।

কেকেআরের তরফে বিবৃতিতে জানানোহ হয়েছে, ''চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত স্যার নতুন কিছু ভেবেছেন। তাই নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আর কেকেআরের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করতে চান না। তাঁর অমূল্য অবদানের জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কোচিয়ে কেকেআর ২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তিনি একটি শক্তিশালী এবং লড়াকু দল তৈরি করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব এবং শৃঙ্খলা আমাদের দলকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের শুভকামনা থাকল। এক জন নাইট, সব সময় নাইট। কলকাতা সব সময় আপনার ঘর থাকবে।'' উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি হচ্ছে না। দু'পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

 

চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কেকেআরের কোচ হওয়ার পর থেকে মোট ৪২ ম্য়াচের মধ্য়ে কেকেআর ২২ ম্য়াচ জিতেছে। হেরেছে ১৮টি ম্য়াচ। দুটো ম্য়াচের কোনও ফল বেরয়নি। গত আইপিএল মরশুমে কেকেআর পয়েন্ট টেবিলে আট নম্বরে শেষ করেছিল। ১৪ ম্য়াচের মধ্যে মাত্র ৫টি ম্য়াচে তাঁরা জিতেছিল।

বিসিসিআইয়ের কার্যালয় থেকে চুরি আইপিএল জার্সি

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কার্যালয়ে থেকেই চুরি হয়ে গেল আইপিএল জার্সিত। আর চুরি করলেন সেই কার্যালয়েরই নিরাপত্তারক্ষী। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিসিসিআইয়ের অফিস থেকে ফারুখ আসলাম খান নামক এক নিরাপত্তারক্ষী স্টোররুম থেকে ২০২৫ সালের আইপিএলের জার্সি চুরি করেন। বিভিন্ন দলের এই জার্সির প্রতিটির মূল্য প্রায় ২৫০০টাকার আশেপাশে। ঠিক কী কারণে এত জার্সি সেখানে রাখা ছিল, তা জানা না গেলেও, সেই নিরাপত্তারক্ষীকে এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেই খবর। পুলিশের তরফে জানানো হয় ৪০ বছর বয়সি ওই নিরাপত্তারক্ষী জুয়ায় আসক্ত এবং নিজের জুয়ার নেশার জন্য টাকা জোগাড় করতেই এই জার্সিগুলি চুরি করেন। তারপর তিনি সেগুলি হরিয়ানার এক অনলাইন জার্সি বিক্রেতাকে বিক্রি করে দেন।