কলকাতা: একজন ব্যাট হাতে প্রত্যেক ম্যাচে দলের ইনিংসকে নির্ভরতা দিচ্ছেন। বুধবারও ইনিংস ওপেন করতে নেমে সেই শুবমান গিল ৩৪ বলে করে গেলেন ৪৭ রান। অন্য দুজন – শিবম মাভি ও কমলেশ নাগরকোটি বল হাতে, ফিল্ডিংয়ে নজর কেড়ে নিচ্ছেন। বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ৩৭ রানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারানোর রাতে ম্যাচের সেরা মাভি। যিনি ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে তুলে নিলেন জশ বাটলার ও সঞ্জু স্যামসনকে। আর নাগরকোটি ২ ওভারে মাত্র ১৩ রানে নিলেন ২ উইকেট। সঙ্গে জোফ্রা আর্চারের দুরন্ত ক্যাচ।

ত্রয়ীর পারফরম্যান্স দেখে ভিআইপি বক্সে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন উচ্ছ্বসিত শাহরুখ খান। যিনি বুধবার ম্যাচ দেখলেন মাঠে বসে। তিনজনই ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের সদস্য। নাইটদের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন। শুবমান আগের ম্যাচে সেরা হয়েছিলেন। বুধবার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ মাভি।

এই তরুণরাই কি এবছর কেকেআরের সেরা অস্ত্র? ম্যাচের শেষে নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের কাছে জানতে চেয়েছিল এবিপি আনন্দ। কার্তিক বললেন, ‘অবশ্যই। তরুণ ক্রিকেটারেরা ভাল খেলছে সেটা দারুণ ব্যাপার।’ তবে সতর্ক থাকতে চান কার্তিক। বললেন, ‘আমি চাই না এটা নিয়ে খুব মাতামাতি হোক। ওরা দলের হয়ে অবদান রাখছে সেটা খুব ইতিবাচক দিক। তবে ওদের ওপর দল নির্ভর করে রয়েছে, এসব বলে ওদের চাপে ফেলতে চাই না। ওরা নিজেদের খেলাটা খেলুক। চারপাশে এমন অনেক ক্রিকেটার আছে যারা ওদের সেরাটা বার করে আনতে সাহায্য করছে।’

কেকেআরের ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৭-এ আটকে গেল রাজস্থান। শুরু থেকে দ্রুত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রান তাড়া করতে নেমে হিসেবে কোথায় ভুল হল? কীভাবে রান তাড়া করা উচিত, তা নিয়ে কি কোনও ধন্দ ছিল? এবিপি আনন্দের প্রশ্নে ম্যাচের শেষে রবিন উথাপ্পা অবশ্য বললেন, ‘আমাদের খেলার ধরনটা এরকমই। এই ভুল থেকে অনেক কিছু শিখলাম।’