লখনউ: চোটের জেরে গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হয়ে মাঠে নামতে পারেননি কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। মাঠে ফিরেই অবশ্য নিজের স্পিন ভেল্কিতে সকলকে ফের একবার মুগ্ধ করলেন তিনি। নিলেন তিন উইকেট। এক সময় ৯৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants)। মনে হচ্ছিল লখনউ হয়তো ১৫০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারবে না। তবে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকিয়ে লখনউকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিলেন আয়ুষ বাদোনি (Ayush Badoni)। ২০ ওভার তাঁর লড়াইয়ের সুবাদেই লখনউ সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রান তুলল।


৩১ বলে দুরন্ত অর্ধশতরান পূরণ করেন বাদোনি। তিনি ৫৫ রানে নিজের ইনিংস শেষ করলেন। বাদোনিকে যোগ্য সঙ্গ দেন আর্শাদ খান। ২০ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। অষ্টম উইকেটে ৪২ বলে ৭৩ রান যোগ করেন দুইজনে। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই অষ্টম উইকেটে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।


গত তিন ম্যাচে রান ডিফেন্ড করে জিতেছিল লখনউ। এই ম্যাচেও সেই ছকেই এগোনোর লক্ষ্যে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। তিনি অবশ্য শিশিরের কথা বলেন। এই ম্যাচে দিল্লির হয়ে মাঠে ফেরেন দুই তারকা বোলার কুলদীপ যাদব ও মুকেশ কুমার। একজন নিলেন তিন উইকেট, একজন পেলেন এক। তবে দিল্লির হয়ে ইনিংসের শুরুটা বল হাতে দুরন্তভাবে করেছিলেন খলিল আমেদ। ছন্দে থাকা কুইন্টন ডি ককে ১৯ রানে ফেরান তিনি। তিন রানে দেবদত্ত পাড়িক্কালও তাঁরই শিকার।


কেএল রাহুল একদিকে ভাল ব্যাট করছিলেন বটে। তবে তাঁকে বল হাতে তুলে নিয়েই ৩৯ রানে ফেরান কুলদীপ যাদব। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়েই লখনউয়ের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। নিকোলাস পুরান খাতা খোলার আগেই ফেরান। স্টোইনিসকেও আট রানে আউট করেন কুলদীপ। এক সময় ৯৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল। সেখান থেকেই লখনউকে উদ্ধার করেন আয়ুষ বাদোনি এবং আর্শাদ খান। দুই তরুণ তুর্কির লড়াইয়ে লখনউ নাগাড়ে টানা চার ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে উঠতে পারেন কি না, সেই দিকেই সকলের নজর থাকবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: টসে কারচুপি! MI-RCB ম্যাচের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় নেটপাড়া