রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালস, দুই দলই দাঁড়িয়ে ১৪ পয়েন্টে আর দুটো করে ম্যাচ বাকি থাকায় দৌড়ে বেশ এগিয়ে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। শুক্রবার রাজস্থান জেতায় সকলেরই সুযোগ বাড়ল। তবে কেকেআরকে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। কারণ, শাহরুখ খানের দল নেট রান রেটে পিছিয়ে।
এদিন বেন স্টোকস রাজস্থানের জয়ের নায়ক। প্রথমে বল হাতে নিলেন দুই উইকেট। কে এল রাহুল ও নিকলাস পুরান, তাঁর শিকারের ঝুলিতে দুই বড় নাম। পরে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ২৬ বলে ঝোড়ো ৫০ রান করেন। স্টোকসই ম্যাচের সেরা। ১৫ বল বাকি থাকতে পঞ্জাবের ১৮৫/৪ পেরিয়ে যায় রাজস্থান। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে। স্টোকসের দাপটে ক্রিস গেইলের ৯৯ রানের ইনিংসও ফিকে হয়ে গেল।
টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে তিনি প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সেই ক্রিস গেইল এখন ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ফর্মে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন। মরুদেশে দেখা যাচ্ছে গেইল-স্টর্ম। শুক্রবার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফের ঝোড়ো ইনিংস ক্যারিবিয়ান মহাতারকার। তবে মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। ৬৩ বলে ৯৯ রান করে জোফ্রা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে যান গেইল। গেইলের ব্যাটিং ঝড়ের সৌজন্যে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব তুলেছিল ১৮৫/৪। ৪১ বলে ৪৬ রান করেন কে এল রাহুল। রাজস্থানের হয়ে স্টোকস ছাড়াও রান পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন (২৫ বলে ৪৮), স্টিভ স্মিথ (২০ বলে অপরাজিত ৩১), রবিন উথাপ্পা (২৩ বলে ৩০) ও জশ বাটলার (১১ বলে অপরাজিত ২২)।