লখনউ: আইপিএলের (IPL 2024) ৪৮তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৪৪ রান তুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউ সুপার জায়ান্টসের অল রাউন্ড বোলিং পারফরম্যান্সে মুম্বইয়ের সিংহভাগ ব্যাটাররাই ব্যর্থ হন। তবে নেহাল ওয়াদেরা (Nehal Wadhera) এবং ঈশান কিষাণের (Ishan Kishan) লড়াকু অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ এবং শেষের দিকে টিম ডেভিডের (Tim David) নজরকাড়া ছোট্ট ৩৫ রানের ইনিংস দলকে ১৫০ রানের কাছাকাছি নিয়ে গেলেন।


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক রাহুল। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে নিজের প্রথম ওভারেই বার্থডে বয় রোহিতকে মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরান মহসিন খান। রোহিতের ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি। পরের ওভারে বল হাতে মার্কাস স্টোইনিস ১০ রানে সূর্যকুমারকে সাজঘরে ফেরান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বই। রবি বিষ্ণোইয়ের দুরন্ত থ্রোয়ে সাজঘরে সাত রান ফেরেন তিলক। ওই একই ওভারে নবীনের বলে হার্দিক খাতা খোলার আগেই আউট হন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে চার উইকেটে মাত্র ২৭ রান তুলতে পারে মুম্বই।


একদিকে যেখানে পরপর উইকেট পড়ছিল, সেখানে অপরপ্রান্তে ঈশান কিষাণ সবটা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। এই পরিস্থিতি থেকেই দলকে উদ্ধারের কাজ নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। নেহাল ওয়াদেরাকে সঙ্গে নিয়ে চলে পাল্টা লড়াই। দুইজনে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রান যোগ করে ফেলেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল মুম্বই এবার বড় রানের দিকে ঝাঁপাবে, তখনই বিষ্ণোইকে বড় শট মারতে গিয়ে ৩২ রানে আউট হন ঈশান কিষাণ। তিনি রান করেন বটে, তবে তাঁকে ছন্দে দেখাচ্ছিল না। ১০০-রও কম স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি।


নেহাল তারপরেও লড়াই চালান। তবে অনবদ্য বলে মহসিন খান তাঁর উইকেট ভাঙেন। ৪৬ রানে আউট হন নেহাল। টিম ডেভিড শেষের দিকে লড়াই করেন। শেষ ওভারে ১৭ রান উঠে। রান খুব বেশি না উঠলেও, লখনউয়ের এই পিচে যে ব্যাটিং করাটা খুব সহজ নয়, তা বলাই বাহুল্য। বুমরা, কোয়েৎজেরা মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে লড়াই করতে পারেন কি না, সেটাই এবার দেখার বিষয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: পারফর্ম করেও বিশ্বকাপের মূল দল থেকে বাদ রিঙ্কু! ক্ষুব্ধ নেটপাড়া