দুবাই: তাঁর দল প্লে অফে যেতে পারেনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে মুকুট জিতলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক। আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতলেন কে এল রাহুল। ১৪ ম্যাচে ৫৫.৮৩ গড়ে ৬৭০ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১৩২। একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। রাহুলের স্ট্রাইক রেট ১২৯.৩৪।


আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে অরেঞ্জ ক্যাপ দিয়ে স্বীকৃতি জানানো হয়। সেই তালিকার শীর্ষে রাহুলের নাম। মঙ্গলবার ফাইনালে রান পাননি দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখর ধবন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন তিনি। অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় দুই নম্বরে রইলেন দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৭ ম্যাচে ৬১৮ রান করেছেন ধবন। টুর্নামেন্টে ২টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন ধবন।

১৬ ম্যাচে ৫৪৮ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় তিন নম্বরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। টুর্নামেন্টে ৪টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৭ ম্যাচে ৫১৯ রান করে তালিকায় চার নম্বরে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। এরপর তালিকায় পরপর তিনটি নাম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। ইশান কিষাণ ১৪ ম্যাচে ৫১৬ রান করে তালিকায় ৫ নম্বরে। তাঁর ঠিক পরেই আছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থ কুইন্টন ডি’কক। ১৬ ম্যাচে ৫০৩ রান করেছেন তিনি। ১৬ ম্যচে ৪৮০ রান করে সাত নম্বরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরই সূর্যকুমার যাদব। এবারের আইপিএলে যাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও প্রাক্তন তারকারা। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে পরের তিনটি নাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। দেবদত্ত পড়িক্কল ১৫ ম্যাচে ৪৭৩ রান করে আট নম্বরে, বিরাট কোহলি ১৫ ম্যাচে ৪৬৬ রান করে আট নম্বরে ও এ বি ডিভিলিয়ার্স ১৫ ম্যাচে ৪৫৪ রান করে ১০ নম্বরে রয়েছেন।

প্রথম দশের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কেউ নেই। নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শুবমান গিল। ১৪ ম্যাচে ৪৪০ রান করে তালিকায় ১২ নম্বরে তিনি।