নয়াদিল্লি: বয়স মাত্র ১৪। এই বয়সেই আইপিএলে যখন বৈভব সূর্যবংশীকে (Vaibhav Suryavanshi) কোটি টাকায় রাজস্থান রয়্যালস দলে নিয়েছিল, তখন থেকেই তাকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। সে কী করে, সেটা দেখতে সকলেই মুখিয়ে ছিলেন। তবে বৈভব আইপিএলের প্রথম বলেই ছক্কা, ভারতীয় হিসাবে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়বে বলে হয়তো কেউই তেমন আশা করেননি। নিজের প্রতিভায় সকলকে মুগ্ধ করেন বাঁ-হাতি ব্যাটার।

বিধ্বংসী হিটার হিসাবে ইতিমধ্যেই টিনএজ তারকা ভারতীয় ক্রিকেটমহলে নিজের নাম করতে সক্ষম হয়েছে। এবার রাজস্থানের তরফে তার অনুশীলনের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে এবং সেই ভিডিও শ্যুট করার সময়ই এক ভয়াবহ কাণ্ড হতে হতে অল্পের জন্য বাঁচে। হেলমেটে গ্রো প্রো পরে এক শ্যুটে নেমেছিল। সেখানে নন স্ট্রাইক এন্ডে ক্যামেরাম্যান দাঁড়িয়ে শ্যুট করছিলেন। বৈভব সজোরে এক শট মারে যা বোলারকে মিস করে সোজা ক্যামেরাম্যান ও তাঁর ক্রুর দিকেই এগিয়েই যায়।

আগুনের গোলার মতো আসা বল থেকে ক্যামেরম্যানরা কোনওক্রমে রক্ষা পান। সৌভাগ্যবশত কেউই চোট পাননি। বৈভব অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে ক্যামেরাম্যানদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই গোটা ঘটনার ভিডিও রাজস্থান রয়্যালসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। এই ভিডিও একদিকে যেখানে বৈভবের শট মারার দুরন্ত দক্ষতা প্রকাশ করে, তেমনই বৈভবের মানবিক মুখও সকলের সামনে তুলে ধরে।

 

প্রসঙ্গত, রাজস্থান রয়্যালস অবশ্য বর্তমানে বৈভব নয়, বরং দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের জন্য খবরের শিরোনামে। Cricbuzz-র রিপোর্ট অনুযায়ী স্যামসন ও রয়্যালস ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তাই আর রাজস্থানে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে একেবারেই খেলতে আগ্রহী নন স্যামসন। তিনি রয়্যালসের কর্তাদের নাকি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁকে যেন ২০২৬ সালের আইপিএলের আগে ছেড়ে দেওয়া হয় অথবা ট্রেড করা হয়। এই বিবাদের কারণটা ঠিক কী?

শোনা যাচ্ছে রয়্যালসের সঙ্গে স্যামসনের বিবাদের মূল কারণ দলে তাঁর ব্য়াটিং পজিশন। স্যামসন ভারতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেললেও তিনি ওপেন করেন। তবে এ বছর আইপিএলে স্যামসনের চোটের মাঝে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে বৈভব সূর্যবংশীকে রয়্যালসের তরফে ওপেন করতে পাঠানো হয়। বৈভব সাফল্য পাওয়ায় এই ওপেনিং জুটিকেই বাকি সময়টাও খেলানো হয়। স্যামসনকে ব্যাটিং অর্ডারে নিজের পছন্দের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। স্যামসনকে নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশন বাছাই করতে না দেওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় এবং সেই দূরত্ব সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে। যদিও এটাই মন কষাকষির একমাত্র কারণ নয় বলেও রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।