মুম্বই: শুরুটা ছিল একরকম। আর শেষটা হল তার ঠিক উল্টো। টানা ২ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে গুজরাত টাইটান্স। তিনি এলেন, হাল ধরলেন, আর শুধু হালই ধরলেন না। রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব দেখালেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। একেবারে অধিনায়কোচিত ইনিংস। অনেক দিন পর পাওয়া গেল পুরনো ডেভিড মিলারকে। ক্যামিও ইনিংস খেললেন তিনি। মাঝে হার্দিককে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন অভিনব মনোহর। রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯২ রান বোর্ডে তুলে নিল গুজরাত টাইটান্স। 


বিশাল স্কোর গুজরাতের


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরলেন ম্যাথু ওয়েড। তৃতীয় ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন বিজয় শঙ্কর। পরপর ২ উইকেট। মাত্র ১৫ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল গুজরাত। এরপর ১৩ রান করে ফেরেন শুভমন গিল। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন হার্দিক পাণ্ড্য ও অভিনব মনোহর। ক্যাপ্টেনকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিনব। শুরুতে কিছুটা স্লথ খেলছিলেন তিনি। তখন চালিয়ে খেলা শুরু করেন হার্দিক। পরে কিছুটা সেট হওয়ার পর অভিনবও চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কিন্তু অর্ধশতরানের থেকে ৭ রান আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব। তবে থামানো যায়নি হার্দিককে।


টানা অর্ধশতরান হার্দিকের


আগের ম্যাচেও অর্ধশতরান করেছিলেন। এদিন ফের অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। অভিনব ফিরে যাওয়ার পর হার্দিককে যোগ্য সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। ২ জনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। হার্দিক ৫২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। মিলার ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।