শারজা: আইপিএলে সুপার স্যাটারডে! শনিবারের দুই ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের চেহারাটা যেভাবে বদলে গেল, তাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা এমনই ভাবতে শুরু করেছেন।


প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৯ উইকেটে দুরমুশ করে প্লে অফের লড়াইয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি করে দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের অঙ্ক আরও জমিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

৯ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়ে মুম্বই নিশ্চিত করে ফেলেছে যে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই প্লে অফে যাচ্ছে তারা। কারণ, ১৩ ম্যাচের শেষে তাদের পয়েন্ট ১৮। শেষ ম্যাচ যদি মুম্বই হেরেও যায়, বাকি কোনও দলের পক্ষে ১৮ পয়েন্টে পৌঁছনো অসম্ভব। অন্যদিকে হায়দরাবাদ জিতে যাওয়ায় ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চার নম্বরে উঠে এল। ১৩টি করে ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট দিল্লি ও আরসিবির। সোমবার এই দুই দলই মুখোমুখি। যারা জিতবে, ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে পৌঁছে যাবে।

অর্থাৎ, বাকি দুটি জায়গার জন্য লড়াই হবে ৫টি দলের। রান রেটে এগিয়ে থাকায় (+০.৫৫৫) যে লড়াইয়ে সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মুখোমুখি হবেন ডেভিড ওয়ার্নাররা আর জিততে পারলেই প্লে অফে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকবে। রান রেট ভাল হওয়ায় অন্য দলের ফলাফলের ওপর খুব একটা নির্ভর করে থাকতে হবে না হায়দরাবাদকে।

শনিবারের পর চাপ বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের। রবিবার যে দুই দল মুখোমুখি। প্লে অফের সামান্যতম আশা জিইয়ে রাখতে দুই দলকেই শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে। কারণ, ১৩ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ১২ হলেও নেট রান রেটে কেকেআর (-০.৪৬৭) ও রাজস্থান (-০.৩৭৭) বেশ পিছনে। রবিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (নেট রান রেট -০.১৩৩, পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২) খেলবে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। বড় ব্যবধানে জিতলে কে এল রাহুলদের সামনেও প্লে অফের দরজা খুলে যেতে পারে।

শনিবার প্রথমে ব্যাট করে বিরাট কোহলিরা আটকে গেলেন মাত্র ১২০/৭ স্কোরে। জশ ফিলিপ (৩১ বলে ৩২), এ বি ডিভিলিয়ার্স (২৪ বলে ২৪) ও ওয়াশিংটন সুন্দর (১৮ বলে ২১) ছাড়া কেউই সেরকম রান পাননি। হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে সেরা সন্দীপ শর্মা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে কোহলি-সহ ২ উইকেট তাঁর। সন্দীপই ম্যাচের সেরা হয়েছেন।

কম রান তাড়া করতে নেমে ফের ব্যাটে ঝড় ঋদ্ধিমান সাহার। কঠিন পিচে ৩২ বলে ৩৯ রান করেন বাংলার ক্রিকেটার। যার মধ্যে মহম্মদ সিরাজকে হুক করে মারা একটি ছয় মাঠের বাইরে উড়ে যায়। ৪টি বাউন্ডারিও মারেন ঋদ্ধি। ১৯ বলে ২৬ রান করে তাঁকে সঙ্গত করেন মণীশ পাণ্ডে। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। ৩৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ।