SRH vs RR IPL Live Score: যশস্বী-পরাগের শতরানের পার্টনারশিপের জবাবে ভুবনেশ্বরের ৩ উইকেট, ১ রানে জয়ী সানরাইজার্স
SRH vs RR Live Score: এখনও পর্যন্ত ১৮ বার দুটা দল মুখোমুখি হয়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে কথা বলেনি। ৯টি ম্য়াচ হায়দরাবাদ ও ৯টি ম্য়াচ রাজস্থান জিতেছে।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ বলে রাজস্থানের দুই রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লু হন রোভম্যান পাওয়েল। ১ রানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স।
ওভারের শেষ বলে ছক্কা খেলেও গোটা ওভারে মাত্র সাত রান দিলেন কামিন্স। নিলেন এক উইকেট। শেষ ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার।
শিমরন হেটমায়ারকে ১৩ রানে ফিরিয়ে রাজস্থানকে পঞ্চম ধাক্কা দিলেন মার্কো জানসেন। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ২০ রান।
বিরাট সাফল্য পেলেন সানারইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দুরন্ত ছন্দে রাজস্থান ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া রিয়ান পরাগকে ৭৭ রানে ফেরালেন তিনি। বড় শট মারার বল পেয়েও বাউন্ডারি ক্লিয়ার করতে পারলেন না পরাগ। ১৬ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর ১৬০/৪। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে আরও ৪২ রানের প্রয়োজন।
অবশেষে পার্টনারশিপ ভাঙল। স্কুপ মারতে গিয়ে উইকেটেই বল মেরে বসলেন যশস্বী। ৪০ বলে ৬৭ রানে আউট হলেন তিনি। ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ ভাঙলেন টি নটরাজন। ১৫ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর ১৫৭/৩।
দুই তরুণ ব্যাটারের চোখধাঁধানো পার্টনারশিপ অব্যাহত। ইতিমধ্যেই ১৩১ রান যোগ করে ফেলেছেন পরাগ ও জয়সওয়াল। ১৩ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর দুই উইকেটের বিনিময়ে ১৩২ রান। জয়ের জন্য তাদের সাত ওভারে আর ৭০ রানের প্রয়োজন। যশস্বী ৬৬ ও রিয়ান পরাগ ৫৯ রানে ব্যাট করছেন।
১০ ওভারেই শতরানের গণ্ডি পার করে ফেলল রাজস্থান। রিয়ান ও যশস্বী দুই তারকাই অর্ধশতরানের দোরগোড়ায়। যশস্বী ৪৮ ও রিয়ান পরাগ ৪৬ রানে খেলছেন। ১০ ওভার শেষে স্কোর ১০০/২।
শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও, রাজস্থানের দুই তরুণ তুর্কি যশস্বী ও রিয়ান দুরন্ত গতিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ৫ ওভারেই ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলল রাজস্থান। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে স্কোর ৫৯/২। রিয়ান ২৫ ও যশস্বী ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
অনবদ্য ভুবি। প্রথম ওভারেই রাজস্থানকে জোড়া ধাক্কা দিলেন সানরাইজার্সের তারকা ফাস্ট বোলার। শূন্য রানে ফেরালেন স্যামসন ও বাটলারকে।
ক্লাসেন ও নীতীশ রেড্ডির দৌলতে শেষটা দুরন্তভাবে করল সানরাইজার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তুলল তাঁরা। নীতীশ ৭৬ ও ক্লাসেন ৪২ রানে অপরাজিত রইলেন।
এক বল আগেই বিতর্কিতভাবে তৃতীয় আম্পায়ার হেডকে নট আউট দেন। রান আউটের আপিলে রিপ্লেতে হেডের ব্যাট হাওয়ায় থাকলেও, তাঁকে নট আউট দেওয়া হয়। তবে তাঁর লাভ নিতে পারলেন না হেড। পরের বলেই আবেশ তাঁকে ৫৮ রানে বোল্ড করেন।
৩৭ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করলেন ট্র্যাভিস হেড। প্রাথমিকভাবে রানের গতি কম থাকলেও, এখন নীতীশ ও হেড, দুইজনকেই বেশ ছন্দে দেখাচ্ছে। শতরানের গণ্ডিও পার করে ফেলেছে সানরাইজার্স। ১৩তম ওভার উঠল ২১ রান। বর্তমানে সানারইজার্সের স্কোর ১১৩/২। নীতীশ ৪২ ও হেড ৫০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
গোটা আইপিএলেই সানরাইজার্স ব্যাটাররা নিজেদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছেন। তবে আজ একেবারেই দ্রুত গতিতে রান করতে পারছেন না হেডরা। নবম ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পার করল সানরাইজার্স। তবে ওভারে শেষ তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চার মারেন হেড। ৯ ওভার শেষে স্কোর ৬৬/২। অভিষেক শর্মার পর আনমোলপ্রীতও ব্যাটে রান পাননি। তিনি পাঁচ রানে সন্দীপ শর্মার বলে আউট হয়েছেন। আপাতত হেড ৪২ ও নীতীশ রেড্ডি চার রানে ব্যাট করছেন।
ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মাকে মাত্র ১২ রানে ফিরিয়ে শুরুতেই সানরাইজার্সকে বড় ধাক্কা দিলেন আবেশ খান। ৫ ওভার শেষে স্কোর ৩১/১।
ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
প্রেক্ষাপট
হায়দরাবাদ: চলতি আইপিএলে দুশোর ওপর রান বোর্ডে তোলাটা যেন অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে সব দলই। বিশেষ করে সানরাইজার্স (Sunrisers Hyderabad) ও রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। আজ এই দুটাে দলই ২২ গজে মুখোমুখি হতে চলেছে। বিশেষ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) তো আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক রান এক ম্য়াচে ২৮৭ বোর্ডে তুলে দিয়েছিল একটি ম্য়াচে। আজ নিজেদের ঘরের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ। হায়দরাবাদ শিবিরের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট ওপেনিংয় জুটি। অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) ও ট্রাভিস হেড (Travis Head) ওপেনিং পার্টনারশিপে এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন প্রতি ম্য়াচে যে সেখানেই বোর্ডে গুচ্ছ গুচ্ছ রান যোগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু সানরাইজার্স সমস্য়ায় পড়ে যাচ্ছে যখনই তাঁদের ওপেনারর খেলতে পারছেন না।
আর এখানেই আজ রাজস্থান রয়্যালস চাপে ফেলতে পারে কামিন্স বাহিনীকে। রাজস্থানের বোলিং লাইন আপ দুর্দান্ত। বোল্ট, বার্গার তো আছেনই। এছাড়াও সন্দীপ শর্মা, আবেশ খান ও অভিজ্ঞ চাহালের স্পিনের সামনে চাপে পড়তে পারে হায়দরাবাদ ব্যাটিং লাইন আপ। পাওয়ার প্লে-তে বোল্ট প্রতি ম্য়াচেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলছেন। হেড ও অভিষেকের মধ্যে একজনকে ফেরালেই কিন্তু চাপ বাড়বে কমলা বাহিনীর। মারকুটে ব্যাটিং করলেও মাঝের ওভারে সন্দীপের স্লোয়ার ও চাহাল-অশ্বিন জুটির সামনে কতটা সাবলীল দেখাবেন ক্লাসেন, তা সন্দেহ রয়েছে। বল হাতে প্যাট কামিন্স আগের দুটা ম্য়াচেই প্রচুর রান খরচ করেছেন। অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমারও নামের সুবিচার করতে পারেননি সেভাবে।
অন্যদিকে রাজস্থান শিবিরে বাটলার ফর্মে ছিলেনই। এখন ফর্মে ফিরেছেন জয়সওয়ালও। আগের ম্য়াচে স্যামসন ও ধ্রুব জুড়েল মাঝের ওভারে ধীর স্থির মনোভাবের সঙ্গে ম্য়াচ জিতিয়ে দিয়েছেন। স্যামসনের ধারাবাহিকতাই তাঁকে টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে দিয়েছে। লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন ধ্রুব।
এখনও পর্যন্ত ১৮ বার দুটা দল মুখোমুখি হয়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে কথা বলেনি। ৯টি ম্য়াচ হায়দরাবাদ ও ৯টি ম্য়াচ রাজস্থান জিতেছে। দুটাে দলেই চোট আঘাতের কোনও খবর নেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -