মুম্বই: ঘণ্টায় দেড়শো কিমি গতিতে বল করেন তিনি। জম্মু কাশ্মীরের ছেলেটি আইপিএলের মঞ্চ পেরিয়ে জাতীয় দলের গ্রহে ঢুকে পড়েছিলেন দু বছর আগেই। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে আবির্ভাব। এরপর ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটেও অভিষেক হয়েছিল উমরান মালিকের (Umra Malik)। আর এবার সব ঠিক থাকলে বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) চলতি বছরের শেষে টেস্টেও অভিষেক করতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, পারথ, অ্যাডিলেড, মেলবোর্নের গতিময় পিচে ভারতের দ্রুততম গতির পেসারকে আক্রমণে এনে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে বিসিসিআই (BCCI)। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাদের জার্সিতে খেলেন উমরান।
জাতীয় দলের জার্সিতে ২০২৩ সালে শেষ টি-টােয়েন্টি খেলেছেন। ওয়ান ডে-তে ১৩ ও টি-টোয়েন্টিতে ১১ উইকেট ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন। যদিও প্রচুর রান খরচ করার অভিযোগ উঠেছে উমরানের বিরুদ্ধে বারবার। তাই জাতীয় দলে এখনও সেভাবে ধারাবাহিক হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মরশুমে রঞ্জিতে পাঁচটি ম্য়াচ খেলেছেন এই পেসার। বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক বলেছেন, ''ওর মধ্যে একটা বিরল প্রতিভা আছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে। আমাদের এখন টার্গেট হল ওকে দিয়ে টানা বল করানো।''
ফাস্ট বোলারদের আলাদা করে চুক্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই বোর্ড সচিব জয় শাহ এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন। আকাশ দীপ, যশ দয়াল, বৈশাখের মত উমরানকেও এই চুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। বোর্ডের তরফে জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানানো হয়েছিল যে উমরানকে বেশি করে ম্য়াচ খেলাতে। যাতে বেশি বল করতে পারে সে। এতে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও গতি সবেতেই আরও বেশি আয়ত্ব বাড়বে উমরানের। গতির সঙ্গে আরও বিভিন্ন বিষয়ে এখনও অনেক কাজ করতে হবে উমরানকে। যেমন স্যুইং, স্লোয়ার।
২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ সফরে ভারত অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। এবারও জিততে পারলে টানা তিনবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যেই এবার পেস আক্রমণকে শক্তিশালী করতে চাইছে বিসিসিআই। শামি চোটের কবলে পড়েছেন। বুমরার পাশাপাশি আছেন আকাশ দীপ, মুকেশরা। এছাড়াও উমরান এলে পেস বোলিং লাইন আপ আরও শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বে কামিন্স, রয়েছেন ভুবি, মারক্রামরা, কতটা শক্তিশালী সানরাইজার্স, কোথায় দুর্বল?