কলকাতা: আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ঠিক আগের দিন বড় ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। জানিয়ে দিয়েছিলেন, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরই তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব ছাড়বেন। অধিনায়ক হিসাবে এটাই তাঁর শেষ আইপিএল।


তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মুখ থুবড়ে পড়ল তাঁর দল। পয়েন্ট টেবিলের নীচের দিকে থাকা দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৯২ রানে অল আউট হয়ে গেল আরসিবি। যে রান কেকেআর তুলে দিল মাত্র ১০ ওভারে। আরসিবি ৯ উইকেটে ম্যাচ হারার পরই তাই জোরালভাবে উঠে পড়েছে একটা প্রশ্ন, অধিনায়কের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার জন্যই কি এই বিপর্যয়? ম্যাচের আগে কোনওভাবে কি দুমড়ে গিয়েছিল আরসিবি ক্রিকেটারদের মনোবল?


ম্যাচের শেষে আবু ধাবি থেকে জুম কলে আরসিবি কোচ মাইক হেসনের সামনে প্রশ্ন রেখেছিল এবিপি লাইভ। কোচ অবশ্য বিরাটের ঘোষণাকে সমর্থন করেছেন। হেসন বলেছেন, 'ওই ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে টুর্নামেন্টের মাঝপথে মনঃসংযোগে কোনওরকম বিচ্যুতি না ঘটে। আজকের পারফরম্য়ান্সের সঙ্গে ওই ঘোষণার কোনও সম্পর্ক নেই। কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার ধাক্কায় আমরা হারিনি। আমরা হেরেছি খারাপ ব্যাটিংয়ের জন্য।'


আইপিএলে নতুন নজির গড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলের। ৬০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। এর আগে ২০১৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩৭ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছিলেন নাইটরা। তবে সোমবারের বিরাট কোহলির বাহিনীকে হারিয়ে সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেল কেকেআর। পয়েন্ট টেবিলেও কিছুটা অক্সিজেনের সন্ধান পেলেন নাইটরা। বহুমূল্য ২ পয়েন্ট ঘরে তুলল কেকেআর। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে পাঁচ নম্বরে উঠে এল শাহরুখের দল।


ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর কোহলি নিজে বলছেন, 'আমরা ভাবিনি অত তাড়াতাড়ি এতটা পরিমাণে শিশির পড়বে। ৪২/১ অবস্থা থেকে পরের ২০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছিলাম। এই হার আমাদের সতর্ক করে দিল। বুঝতে পারলাম কোন কোন জায়গায় আরও পরিশ্রম করতে হবে।'


বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমে পড়তে হয়েছে ক্যাপ্টেন কোহলিকে।