জয়পুর: বেশ কয়েক মরশুম ধরেই তিনি রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) সদস্য। কিন্তু পারফরম্য়ান্সের গ্রাফ একেবারেই উঠছিল না। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়ও উঠছিল। চলতি মরশুমে যখন তিনি প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন প্রথম ম্য়াচে। তখনও তাঁকে নিয়ে কটূক্তি শোনা গিয়েছিল। অবশেষে প্রথমে লখনউ সুপারজায়ান্টস ও পরে গতকাল দিল্লি ক্য়াপিটালস। পরপর ২ ম্য়াচেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স। রিয়ান পরাগ রাজস্থান রয়্যালসের মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকভাবে ভরসা জুগিয়েছেন। গতকাল ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে ম্য়াচ জিতিয়েই রিয়ান পরাগ জানিয়ে দিলেন কীভাবে শরীর পুরোপুরি ফিট না থাকা সত্ত্বেও তিনি ২২ গজে নেমেছিলেন। 


ম্য়াচ জেতানো পারফরম্য়ান্সের পর গতকাল আসামের এই ব্যাটার বলেন, ''কঠোর পরিশ্রম করছিলাম। গত তিনদিন ধরে বিছানায় ছিলাম। ব্য়থার ঔষুধ খেয়েছিলাম আমি। শয্যাশায়ী ছিলাম। ম্য়াচের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুটা তরতাজা হই।'' প্রথম ম্য়াচে লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২৯ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। আর গতকাল ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রান হাঁকানোর পথে ৬টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান রিয়ান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্য়ান্স করেছেন এই মরশুমে ডানহাতি ব্যাটার। রিয়ান বলছেন, ''টপ অর্ডারের চার জনের মধ্যে কাউকে না কাউকে টিমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রথম ম্যাচে সঞ্জু ভাইয়া সেটা করেছিল। আর আজ আমি সেটা করলাম। আমাকে খুব পরিশ্রম করতে হয়েছে। গত ৩ দিন আমি বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। আজ সেখান থেকে উঠে খেলেছি।'' 


 






এই গোটা সফরে পরিবার কতটা পাশে ছিল তা উল্লেখ করে রিয়ান বলেন, ''আমার মা এখানে ম্যাচ উপস্থিত রয়েছে। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। এই মুহূর্তটা দারুণ লাগছে। আমি জানি আমার ক্ষমতা কতটা। আমার দক্ষতা কী। আমি পারফর্ম করতে পারি আর না পারি আমার ক্ষমতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেছিলাম। রানও পেয়েছি।''


আরও পড়ুন: একটা হারের পর এত কড়া সমালোচনা করবেন না, আর্জি দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং কোচের