কলকাতা: শিবম মাভি... সোল্ড টু কেকেআর।


কমলেশ নাগরকোটি... সোল্ড টু কেকেআর।

শুবমান গিল... সোল্ড টু কেকেআর।

গত বছরের ২৭-২৮ জানুয়ারির কথা এখনও ভুলতে পারেন না ঈশান পোড়েল। দ্বাদশ আইপিএলের নিলামে যে দিন এক এক করে দল পেয়ে গিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলে তাঁর সহযোদ্ধারা। আর ব্রাত্য থেকে গিয়েছিলেন তিনি। কোনও দলই বাংলার তরুণ পেসারকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকী, নিজের রাজ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স ভিন রাজ্য থেকে জুনিয়র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের দুই পেসারকে নিলেও, তাঁকে নিয়ে দর হাঁকাহাঁকির দিকে যায়নি।

ত্রয়োদশ আইপিএলের নিলামে দল পেয়েছেন ঈশান। ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে বঙ্গ পেসারকে দলে নিয়েছে প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। আক্ষেপের অবসান হয়েছে ২১ বছর বয়সী পেসারের। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ খেলতে তিনি এখন তিরুঅনন্তপুরমে। আড়াই দিনের মধ্যে বাংলার ম্যাচ জিতে যাওয়ার নেপথ্যেও অবদান রয়েছে চন্দননগরের পেসারের। ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন ঈশান। শুক্রবার তিরুঅনন্তপুরম থেকে মোবাইল ফোনে তিনি বললেন, ‘ভীষণ ভাল লাগছে আইপিএলে দল পেয়ে। যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারই আইপিএল খেলতে চায়। গতবার দল পাইনি। খারাপ লেগেছিল। সেই আক্ষেপ মিটল। আর পিছনের দিকে তাকাতে চাই না। সুযোগ কাজে লাগাতে আমি বদ্ধপরিকর।’



আগেরবারে উপেক্ষিত হওয়ার হতাশা এমনই গ্রাস করেছিল যে, এবার তিনি টিভির সামনে বসে নিলাম পর্ব দেখেননি। টিম বাসে করে মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার সময় সতীর্থদের কাছে খবর পান। ঈশান বলছেন, ‘এবারের নিলাম থেকে আমার কোনও প্রত্যাশা ছিল না। নিজের পারফরম্যান্সের ওপর জোর দিয়েছিলাম। রঞ্জি ট্রফিতে ভাল বোলিং করতে হবে। ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।’

কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে অনিল কুম্বলেকে পাবেন কোচ হিসাবে। তার আগে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে পেয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ের সান্নিধ্য। ঈশান বলছেন, ‘রাহুল স্যারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কুম্বলে স্যারের কাছেও অনেক কিছু শিখতে পারব। কুম্বলে স্যারের ক্লাসের জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বোলারদের বধ্যভূমি মনে করা হয়। তার ওপর আইপিএলে বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানেরা খেলেন। কতটা কঠিন পরীক্ষা? ঈশান বলছেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবই কঠিন। কেউই বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ে না। ব্যাটসম্যানেরা আগ্রাসী ব্যাটিং করবে। তবে তাতে উইকেট নেওয়ার সুযোগও বাড়বে।’

দলে বাংলারই মহম্মদ শামিকে পাবেন সতীর্থ হিসাবে। ঈশান বলছেন, ‘শামি ভাই থাকায় খুব সুবিধা হবে। খোলা মনে বোলিং নিয়ে আলোচনা করতে পারব। পরামর্শ পাব। প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দেব।’