চন্দননগর: করোনা মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা দান করেছেন আগেই। এবার লকডাউনের জেরে যাঁদের অন্ন সংস্থান করাই দুরূহ, সেই সমস্ত দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ালেন ঈশান পোড়েল। চন্দননগরে রথের সড়কে তাঁর এলাকায় ৩৫০ জনের হাতে চাল-ডাল-আলু-মশলার মতো খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন বাংলার পেসার।


শুক্রবার সন্ধ্যায় চন্দননগর থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে ঈশান বললেন, ‘এই বিপর্যয়ের সময় নিজের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদানের পর ভেবেছিলাম শ’খানেক মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেব। তবে পরে সেটা বেড়ে সাড়ে তিনশোয় দাঁড়ায়।’ পৃথ্বী শ-এর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জানালেন, করোনা সঙ্কট চলাকালীন বাড়িতে রান্না করে দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বিলি করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।

বাংলার হয়ে রাজকোটে রঞ্জি ফাইনাল খেলে ফেরার পর থেকে কার্যত গৃহবন্দি। ঈশান বলছেন, ‘সারাদিন ভিডিও গেমস খেলে, বিভিন্ন অ্যাপে সিনেমা দেখে সময় কাটছে। ফিফা খেলছি সময় পেলেই। ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের ওপর নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘দ্য টেস্ট’ দেখলাম অ্যামাজন প্রাইমে। এছাড়া ‘ট্র্যাপড’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর মতো সিনেমা দেখছি।’

সব কিছু ঠিকঠাক চললে এই সময় কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে তাঁর আইপিএল খেলার কথা ছিল। করোনার জেরে আপাতত চলতি মরসুমে আইপিএলের ভবিষ্যতই অনিশ্চিত। ঈশান বলছেন, ‘কিংস ইলেভেন পঞ্জাব থেকে আমাদের সকলকে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যেন মানসিকভাবে সকলে চাঙ্গা থাকে। কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়ে পড়ে। দলের হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে কারও জন্মদিন থাকলে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো চলছে। তবে কোচ অনিল কুম্বলে স্যার এখনও কোনও বার্তা পাঠাননি।’

২১ বছরের পেসার জানালেন, বাংলা দলের সতীর্থরা মিলেও করোনা ত্রাণে কিছু দান করতে পারেন। সঙ্গে তাঁর আশা, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ফিরতে পারবেন ক্রিকেট মাঠে।