কলকাতা: শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তিনি বাদ পড়েছেন। দলে না থেকেও যেন বাংলা শিবিরে ভীষণভাবে থেকে গিয়েছেন অশোক ডিন্ডা। রঞ্জি সেমিফাইনালে তাঁর পরামর্শেই বল হাতে জ্বলে উঠলেন ঈশান পোড়েল। নিলেন পাঁচ উইকেট।


রবিবার দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর ঈশান বলেছেন, ‘কাল ডিন্ডাদার সঙ্গে কথা হয়েছে। সুদীপদা (চট্টোপাধ্যায়) ফোন করেছিল। তখনই আমিও কথা বলি। ডিন্ডাদা অনেক ম্যাচ খেলেছে এই মাঠে। প্রচুর অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কিছু পরামর্শ দিয়েছিল যা মাথায় রেখে বল করেছি।’ কী বলেছিলেন ডিন্ডা? ঈশান বলছেন, ‘ডিন্ডাদা বলেছিল, অতিরিক্ত কিছু করতে যেও না। সঠিক জায়গায় বলটা রেখো। টানা এক লাইনে বল কোরো। সেটা মেনেই সাফল্য পেয়েছি।’

রবিবার খেলা দেখতে ইডেনে এসেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সামনেই এই সাফল্য। ঈশান বলছেন, ‘সৌরভ স্যারের সঙ্গে কথা হয়নি। তবে খেলা দেখেছেন।’ তাঁর বাবাও খেলা দেখতে এসেছিলেন। ঈশানের কথায়, ‘বাবাকে আসতে বারণ করেছিলাম। বাড়তি চাপ নিতে চাইনি। তবে বাবা দেখছিল বলে ভাল লেগেছে।’ যোগ করছেন, ‘তিনশো প্লাস স্কোর ওদের মানসিকভাবে চাপে ফেলার  জন্য দরকার ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানদের সময় খারাপ যাচ্ছে। ভাল ব্যাট করতে পারছি না। উদ্বেগ থাকছে। কাল প্রথম সেশন গুরুত্বপূর্ণ। সুদীপদা-রুকুদা ভরসা। চারশো প্লাস লিড থাকলেই অ্যাডভ্যান্টেজ।’