নভেম্বর শেষ হতে চলল। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র শীতের আমেজ। তবে ফুটবলপ্রেমীরা কলকাতা ডার্বির উত্তাপে ফুটছেন। শুক্রবার আইএসএল-এ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে এস সি ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ এটিকে মোহনবাগান। এতদিন বড় ম্যাচ বলতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলাই বোঝাত। কিন্তু ‘নিউ নর্ম্যাল’-এ সেটা বদলে গিয়েছে। কলকাতা ডার্বি এখন এস সি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের। বড় ম্যাচের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও দর্শক মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। দু’দলের সমর্থকদের হয় টিভির পর্দা, না হয় মোবাইল ফোনে চোখ রাখতে হবে। তবে মাঠে যেতে না পারলেও, সমর্থকরা দূর থেকেই গোয়ার মাঠে খেলতে নামা প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে তৈরি। বিভিন্ন জায়গায় বড়পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এটিকে তিনবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গতবারও খেতাব আসে কলকাতাতেই। অন্যদিকে, গতবার আই লিগ জেতে মোহনবাগান। এই দুই দল এবার এক হয়েছে। ফলে ইস্টবেঙ্গলের জন্য বিজ্ঞাপনের ভাষায় ‘ডাবল ট্রাবল’ হবে কি না, সেটা কিক-অফের আগে বলা সম্ভব নয়। তবে এটিকে মোহনবাগান নিঃসন্দেহে অত্যন্ত শক্তিশালী ও ভারসাম্যযুক্ত দল। দলের সেরা অস্ত্র রয় কৃষ্ণ। ফিজির এই স্ট্রাইকারই প্রথম ম্যাচে একমাত্র গোল করেছেন। ডার্বিতেও গোল করার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে দল। পাশাপাশি অরিন্দম ভট্টাচার্য, সন্দেশ ঝিঙ্গান, তিরি, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, প্রণয় হালদার, জয়েশ রানে, ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিংহরাও কোচ অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের ভরসা।
ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে এবার অনেক নতুনত্ব, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। কোচ লিভারপুলের কিংবদন্তী স্ট্রাইকার রবি ফাউলারের পাশাপাশি একাধিক সহকারী আছেন। এমনকী, সেট-পিস কোচও এনেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে লাল-হলুদের দলটা একেবারেই নতুন। বেশিরভাগ ফুটবলারই একসঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে একটিমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই সরাসরি আইএসএল-এ ডার্বি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে দল কতটা তৈরি, সে বিষয়ে কিছুটা সংশয়ে সমর্থকরা। যদিও স্কট নেভিল, ড্যানিয়েল ফক্স, অ্যান্টনি পিলকিংটন, জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমার মতো বিদেশিদের উপর ভরসা করছে লাল-হলুদ শিবির। সঙ্গে দেবজিৎ মজুমদার, বলবন্ত সিংহ, জেজে, বিকাশ জাইরু, নারায়ণ দাসের মতো অভিজ্ঞ ভারতীয় ফুটবলাররা আছেন। ফলে শুক্রবার এটিকে মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি এস সি ইস্টবেঙ্গল।