ভাস্কো: দেখতে দেখতে আরও একটা ডার্বি। এবারের আইএসএলের খেতাবি লড়াইয়ে নেই কলকাতার ২ প্রধান। কিন্তু তবুও ডার্বি সবসময়ই আলাদা একটা উত্তেজনা তৈরি করে। ফের একবার সেই মহারণ। শেষবার ২ দলের সাক্ষাতে জয়ের মুখ দেখেছিল এটিকে মোহনবাগান (atk mohun bagan)। কিন্তু এরপর ২ ক্লাবের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। বদল হয়েছে কোচও। লাল হলুদ শিবিরে ম্যানুয়েল দিয়াজের বদলি হয়ে এসেছেন মারিও রিভেরা। অন্যদিকে সবুজ মেরুন শিবিরে হাবাসের বদলে এসেছেন হুয়ান ফেরান্দো। প্রথমবার ডার্বিতে সাক্ষী থাকতে চলেছেন। কেমন অনুভূতি? এটিকে মোহনবাগান কোচ ডার্বির আগের দিন বলছেন, ''অবশ্যই আমি খুশি। এ রকম একটা বিশাল ম্যাচে অংশ নিতে পারার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। তবে এই ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য একই থাকবে, তিন পয়েন্ট অর্জন করা। নিজেদের স্টাইলে উন্নতি করা, কিছু জায়গায় উন্নতি করাও লক্ষ্য। ফোকাস যেন নড়ে না যায়, সেটাও দেখতে হবে। এটা আবেগের ম্যাচ ঠিকই। কিন্তু সে জন্য ফোকাস নড়ে যাওয়া চলবে না।''


শেষ ম্যাচে রয় কৃষ্ণ (roy krishna) চোট পেয়েছিলেন অল্প। কাল কি পুরো ম্যাচই খেলবেন? কোচ বলছেন, ''দেখা যাক। সময় দরকার। গত সপ্তাহে রয়ের কঠিন সময় চলছিল। কোভিড পরিস্থিতির কথা সবাই জানেন। সারাক্ষণ স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয় ওকে। তবে ওর ওপর আমাদের আস্থা আছে। মাঠে নেমে নিজের একশো শতাংশ দেয় ও। ড্রেসিং রুমকেও যথেষ্ট উজ্জীবিত রাখে ও। ওকে আমাদের দরকার। কিন্তু মাঝে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কারণ, একটা ম্যাচে খেলিয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে তিন-চার সপ্তাহের জন্য হারানোর কোনও মানে হয় না।''


প্রতিপক্ষ শিবিরকে কীভাবে দেখছেন? ফেরান্দো বলেন, ''এসসি ইস্টবেঙ্গল এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। মরসুম শুরুর দিকে ওরা যেমন ছিল, তার চেয়ে এখন অনেক আলাদা। ওদের গত তিন-চারটে ম্যাচে দেখছি ওরা এখন অনেক খোলা মনে নিজেদের মতো খেলতে পারছে। পুরো দলটাই এখন অনেক সঙ্ঘবদ্ধ। অনেকেই বলছিলেন, ওদের পারফরম্যান্স ভাল না, ওদের প্রস্তুতি নাকি ভাল হয়নি। কিন্তু ওরা যে ভাবে এখন বিপক্ষকে চাপে রাখছে, তাতে আমার বিশ্বাস শেষ কয়েকটা ম্যাচ দেখে ওদের সমর্থকেরা নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন।''


আমার তা মনে হয় না। এ বারের মরশুমে প্রতি ম্যাচই আলাদা। কারণ, কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রতি ম্যাচেই খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলে যাচ্ছে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচে দুটো ছোট ছোট ভুলই ওদের হারিয়ে দিল। এই ভুলগুলো না হলে এত তাড়াতাড়ি ২-০ করতে পারত না হায়দরাবাদ। তার পরে ওডিশা-হয়দরাবাদ ম্যাচেও একই রকম হয়েছে। এখন যা অবস্থা, তাতে আবেগ মাঝে মাঝেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই সোজা নয়।