ভাস্কো: এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আইএসএল-এ টানা তিনটি ডার্বি জিতল এটিকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধেই তিনটি গোল হয়ে যায়। সেই সময় মনে হচ্ছিল, কলকাতা ডার্বিতে জয়ের ব্যবধানের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে যাবে। কিন্তু প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর দ্বিতীয়ার্ধেও আর কোনও গোল হয়নি। ফলে ৩-০ ব্যবধানেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে।


আজকের ম্যাচের ২৩ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। একটি করে গোল করেন রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংহ ও লিস্টন কোলাসো। তবে এরপর আর এই ম্যাচে কোনও গোল হয়নি। ফলে প্রথমার্ধের স্কোরেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে।


প্রথমার্ধে মনে হচ্ছিল, আজই কলকাতা ডার্বিতে জয়ের সর্বকালীন ব্যবধানের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৯-এর ২৫ অক্টোবর আই লিগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। একাই চারটি গোল করেছিলেন চিডি এডে। আজ সেসব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা আর হল না। 


ম্যাচের শুরুর কয়েক মিনিট দেখে অবশ্য বোঝা যায়নি, এভাবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে গুঁড়িয়ে দেবে এটিকে মোহনবাগান। শুরুতে সাত-আট মিনিট লড়াই করছিলেন, আক্রমণেও যাচ্ছিলেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু প্রথম গোলের পরেই ম্যাচের গতি পুরো বদলে যায়। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন সেরা রয় কৃষ্ণ। এই গোলের ধাক্কা কাটার আগেই ফের গোল খায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে ডানপায়ের গোলার মতো শটে জাল কাঁপিয়ে দেন মনবীর সিংহ। ০-২ পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদের যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর ২৩ মিনিটে মারাত্মক ভুল করে বসেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ও গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। গত মরশুমে আইএসএল-এর সেরা গোলকিপার বক্সের ডানদিকে একটি বল ধরতে গিয়ে হাত ফস্কে, পা হড়কে পড়ে যান। বিনা বাধায় জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। 


এরপরেও গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তবে প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। 


দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা আর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাননি। কয়েকটি সুযোগ এলেও, সেগুলি নষ্ট হয়। ফলে এই ম্যাচে আর ব্যবধান বাড়েনি।