ভাস্কো: তাঁর প্রাক্তন দল এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দল নামানোর আগে এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো বেশ সতর্ক। একে তো দলের সবাইকে পাচ্ছেন না। তার ওপর ঘন ঘন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলে চোট-আঘাতের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ধাপে ধাপে দলকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে চান তিনি। 


আপনার দলের চোট-আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়দের অবস্থা এখন কী রকম?


ম্যাচের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, পরপর ম্যাচ। তাই প্রস্তুতির আর সময় নেই। তবে প্রত্যেকেই ক্রমশ সেরে উঠছে। কঠিন সময়ের মধ্যেও ওরা ক্রমশ শারীরিক ভাবে উন্নতি করছে।


গত ম্যাচে আপনার দলের তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কেমন লেগেছে?


আমাদের দলের সবাই সব সময় মাঠে নামার জ্ন্য প্রস্তুত থাকে। কে ২০ বছর বয়সি বা কার ১৯, এ সব নিয়ে এখন আর ভাবার উপায় নেই। প্রত্যেককেই তৈরি থাকতে হবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি খুশি, প্রত্যেকেরই শেখার আগ্রহ আছে এবং প্রত্যেকেই ভাল ফুটবল খেলতে চায়। এখন আর খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে ভাবলে চলবে না। কে কী রকম খেলছে, কার মানসিকতা কী অবস্থায় রয়েছে, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


চেন্নাইন এফসি-কে ৫-০-য় হারিয়ে এফসসি গোয়া এই ম্যাচে আসছে। ওদের সম্পর্কে আপনাদের কী কী খেয়াল রাখতে হবে বলে মনে করেন?


এফসি গোয়ার পারফরম্যান্স খুবই ভাল। ওদের দলটা সব দিক দিয়ে খুবই ভাল খেলছে। সেরা চারে থেকে শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে ওদের। ওরা ছন্দে রয়েছে। আমি শুনলাম ওদের শিবির এখন খুবই সুখের। তবে আমাদের নিজেদের খেলায় ফোকাস করতে হবে, যাতে তিন পয়েন্ট পাওয়া যায়।


প্রথম লেগের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল দুই দলের মধ্যে। এ বারও কি সে রকমই আশা করছেন?


তখনকার সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতির ফারাক অনেক। এখন অনেক দলের খেলোয়াড়রাই কোভিড, কোয়ারান্টাইনের ফলে মানসিক ভাবে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কোভিডের প্রভাব সব দলের ওপরই পড়েছে। সব দলের মধ্যেই এখন সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিন বা প্রতি অনুশীলনে ক্রমশ উন্নতি করা এখন সম্ভব নয়। তাই গতবারের চেয়ে এ বারের ম্যাচটা অন্য রকম হতে পারে। এ বার আমরা ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে অনেক বেশি জোর দিচ্ছি। ফলে বাড়তি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।


আগামী ২০ দিনে ছটি ম্যাচ খেলতে হবে আপনাদের। কতটা কঠিন এই পরিস্থিতি সামলানো?


সত্যিই কঠিন। কারণ, এখন চোট পাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তার ওপর কেউ যদি পরিকল্পনা বদলে বা স্টাইল বদলে খেলতে চায়, তাও কঠিন। কারণ, সেটা নতুন করে বোঝানোর বা তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। মানসিক ভাবেও খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে উঠছে, কিন্তু সেই তুলনায় যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছে না। ফলে রিকভারও করতে পারছে না ঠিকমতো। একটা ম্যাচে পারফরম্যান্সে বা কৌশলে যা ভুলভ্রান্তি থাকে, সেগুলো শুধরে নেওয়াও এই অল্প সময়ে বেশ কঠিন। তবে আমাদের সামনে এ ছাড়া উপায় নেই। যেটা করা দরকার, সেটা আমাদের করতেই হবে। দলের একে অপরকে সাহায্য করতে হবে।


সন্দেশ ঝিঙ্গন গত ম্যাচে ৪৫ মিনিট ভালই খেলেছে। ওঁকে কি এই ম্যাচে শুরু থেকে দেখা যাবে?


দেখা যাক কী হয়। ওর অনুশীলনে আমি খুশি। ও ক্রমশ চোটের প্রভাব কাটিয়ে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারেছ। তবে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। ম্যাচের আগে দেখতে হবে ও কী অবস্থায় রয়েছে। তার পরে ওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।                                                                                                                                                              --------- তথ্যসূত্র আইএসএল মিডিয়া