কলকাতা: দুঃসময় কাটিয়ে দল জয়ে ফেরায় খুশি মোহনবাগান এসজি কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। চার ম্যাচে জয়হীন থাকার পরে অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার তারা ঘরের মাঠে লিগ টেবলে সবার নীচে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-কে ২-০-য় হারিয়ে উঠে আসে চার নম্বরে। অনিরুদ্ধ থাপা ও জেসন কামিংসের গোলে জেতে গতবারের কাপ চ্যাম্পিয়নরা।



স্প্যানিশ কোচ হাবাস মনে করেন, এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট খুবই প্রয়োজন ছিল। ম্যাচের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অনেক দিন পর তিন পয়েন্ট পেলাম আমরা। এটা খুব দরকার ছিল। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরও গোল হত। তবে দলের পারফরম্যান্সে ও মানসিকতায় আমি খুশি। তবে শেষ দিকে বক্সের মধ্যে খেলায় খুব একটা খুশি হতে পারিনি”।

সহাল আব্দুল সামাদের জায়গায় এ দিন ম্যাচের ৬১ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন ফিনল্যান্ডের ইউরো কাপার জনি কাউকো। ২০২২-এর নভেম্বরে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁর হাঁটুতে চোট লাগে, যার জেরে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এ জন্যই তাঁকে দেশে ফেরত পাঠায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। শনিবার প্রায় ১৫ মাস পরে তাঁকে ফের সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখে সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।

কাউকোর মাঠে ফেরা নিয়ে হাবাস এ দিন বলেন, “জনি কাউকোর উপস্থিতি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচগুলোতে ওকে আমাদের লাগবে। ভেবেছিলাম ওকে ৩০ মিনিট খেলাব। ও তার বেশিই খেলল, প্রায় ৩৫ মিনিট। ওর ব্যাপারে বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ, প্রায় এক বছর পর ও মাঠে নামছে। তবে ও পুরো ফিট এবং ওর ওপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে”।

এই ম্যাচে মোহনবাগানের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা তিন খেলোয়াড়কেও মাঠে নামান হাবাস। দীপ্পেন্দু বিশ্বাস, অভিষেক সূর্যবংশী ও অমনদীপ ভান। তাঁদের প্রশংসা করে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “অ্যাকাডেমি থেকে আসা জুনিয়র ফুটবলাররাও খুবই ভাল খেলেছে। ওদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এ বার আমাদের এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হবে। দ্রুত খেলোয়াড়দের ফের চাঙ্গা করে তুলে প্রস্তুতি নিতে হবে”।