কলকাতা: ডুরান্ড কাপ জয়ের পর মোহনবাগান এসজি-র লক্ষ্য ছিল এএফসি কাপের নক আউট পর্ব। সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তাদের ফোকাস এখন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। মাঝখানে কলিঙ্গ সুপার কাপ পড়ে গেলেও প্রথম দলের সাতজন খেলোয়াড় এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য জাতীয় শিবিরে চলে যাওয়ায় সেই টুর্নামেন্টেও লক্ষ্যপূরণ হয়নি তাদের। তার পরেও মোহনবাগানের দুঃসময় যেন কাটছে না।


আইএসএলে টানা চারটি ম্যাচে জয়হীন তারা। ফলে লিগ টেবলে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নেহাত শুরুর দিকে হাফ ডজন জয় পেয়েছিল তারা। সেই সাফল্যের সুফল এখন কিছুটা হলেও পাচ্ছে। ঘাড়ের কাছে কোনও দলের নিঃশ্বাস পড়ার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি (লিগ টেবল দেখলেই বুঝবেন)। তাই নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কিছুটা হলেও সময় ও সুযোগ পাচ্ছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। কিন্তু শনিবার ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর যে সুযোগ তারা পাচ্ছে, এর চেয়ে ভাল সুযোগ বোধহয় আর পাবে না হাবাস-বাহিনী।


এ পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলার পরেও একটিতেও জয় পায়নি যে দল, চারটি ড্র ও ন’টি হারের ফলে যারা লিগ টেবলে সবার নীচে, সেই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে শনিবার হোম ম্যাচ তাদের। সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকা নিজামের শহরের দলকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা খুব কঠিন নয় ঠিকই। কিন্তু একটু অসাবধান হলে বড় ধাক্কাও খেতে পারে তারা।


 টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত (ছটি জয় ও একটি ড্র) থাকার পর মুম্বই সিটি এফসি, এফসি গোয়া ও কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে টানা তিন ম্যাচে হারে মোহনবাগান এসজি। এর পরে কলকাতা ডার্বিতেও ড্র করে তারা। ফলে লিগ টেবলে আপাতত পাঁচ নম্বরে নেমে গিয়েছে গতবারের কাপ চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যা, জাতীয় শিবিরের জন্য খেলোয়াড় ছাড়া— নানা কারণে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে তাদের। লিগের শুরুর ধারাবাহিকতার জন্য এখন পর্যন্ত সেরা ছয়ের বাইরে ছিটকে যায়নি কলকাতার দলটি।


কিন্তু সেরা ছয়ে টিকে থাকতে হলে তাদের এ বার ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। কিন্তু সমস্যা যে মোহনবাগানের প্রায় ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাই নতুন করে সমস্যার কালো মেঘ জমতে শুরু করে দিয়েছে তাদের আকাশে। গত ম্যাচে সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি ও নির্ভরযোগ্য ব্রেন্ডান হ্যামিল চোট পান। ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু ও মিডফিল্ডার দীপক টাঙরির কার্ড সমস্যা। শনিবার মাঠে নামতে পারবেন না এই চারজনের কেউই। আর এক ডিফেন্ডার আশিস রাইও অনিশ্চিত। কারণ, তিনি পুরোপুরি ফিট নন।