কলকাতা: আইএসএলে এই প্রথম ডার্বি জিততে না পারলেও তাঁর দলের পারফরম্যান্সে খুশি মোহনবাগান এসজি-র কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। শনিবার যুবভারতীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করার পরে সাংবাদিকদের তা জানিয়ে দিলেন স্প্যানিশ কোচ।

  


এ দিন দু’বার পিছিয়ে গিয়েও ড্র করে মোহনবাগান এসজি। এই নিয়ে চলতি আইএসএলে টানা চার ম্যাচে জয়হীন থাকল তারা। যা নিয়ে কোচ বলছেন, “এই ম্যাচে আমাদের জেতার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। একাধিক কারণে তা হয়নি। যেমন ইস্টবেঙ্গলকে পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল ফুটবল খেলছিলাম যখন, তখন অনেক সময় নষ্ট করার চেষ্টা করেছে ওরা। শেষে মাত্র সাত মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা অন্তত ১২ থেকে ১৪ মিনিট হওয়া উচিত ছিল। তবে দল অনেক উন্নতি করেছে। দলের পারফরম্যান্সে যে তীব্রতা, শৃঙ্খলা, ইতিবাচক মানসিকতা ছিল, তাতে আমি খুশি”।


এমনিতেই চোট-আঘাত মোহনবাগান শিবিরের নিয়মিত সঙ্গী। তার ওপর এদিনের ম্যাচেও সদ্য চোট সারিয়ে ফিরে আসা আনোয়ার আলি ফের হ্যামস্ট্রিং সমস্যা নিয়ে ম্যাচ শুরুর দশ মিনিটের মধ্যে মাঠ ছেড়ে চলে যান। এর পরে ব্রেন্ডান হ্যামিলেরও পেশীর সমস্যা হয়, তিনিও মাঠ ছেড়ে চলে যান। বারবার রক্ষণের খেলোয়াড়দের চোট হওয়া প্রসঙ্গে হাবাস বলেন, “আমাদের আজ চারবার রক্ষণের লাইন-আপ বদলাতে হয়েছে। বারবার চোট লেগেছে আমার ডিফেন্ডারদের। তবে আমার দলের মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। নিজেদের ওপর আস্থা, হার না মানার মানসিকতা— এ গুলো আমার কাছে আজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল”।


ম্যাচের শুরুতেই আনোয়ার আলির চোট লাগা নিয়ে হাবাসের বক্তব্য ছিল, ''আনোয়ার আমাদের সঙ্গে ১৫ দিন ধরে অনুশীলন করেছে। কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু ম্যাচে অনেক তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। কিছুটা ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। তবে পেশাদার ফুটবলে এ সব নিয়েই চলতে হয়। চোট হলে কিছু বলার থাকে না। আমার হাতে পুরো দলই ছিল। এখন দেখতে হবে আমার খেলোয়াড়রা কত দ্রুত ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে।''


আনোয়ার শুরুতেই বেরিয়ে যাওয়ায় তাঁর দল যে সমস্যায় পড়ে, তা স্বীকার করে নিয়ে সবুজ-মেরুন কোচ বলেন, “শুরুতেই একজন খেলোয়াড় চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। তার ওপর একটা গোলও খেয়ে যাই। দ্রুত মানসিকতা বদল করে খেলায় ফেরাটা বেশ কঠিন ছিল। শুরু থেকেই মনসংযোগ বজায় রাখা খুবই দরকার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তবে পেনাল্টিটাই সব হিসেব পাল্টে দিল”।


দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের চোট কতটা গুরুতর, তা অবশ্য এখনই বলতে পারছেন না হাবাস। শুধু বলেন, ''আনোয়ার ও হ্যামিলের চোট কতটা গুরুতর, তা কালকের আগে জানা সম্ভব নয়। কাল মেডিক্যাল টিমের কাছ থেকে জানতে পারব। তবে আমাদের দলে অনেক খেলোয়াড় আছে। তাদের ওপর আমার পুরো আস্থা আছে। আনোয়ার খেলতে না পারলেও তার বিকল্প আমার হাতে আছে। অমনদীপ আজ প্রথম মাঠে নামল। যথেষ্ট ভাল খেলেছে। আমি ওর খেলায় খুশি।''


                                                                                                                                                                                     তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া