বেঙ্গালুরু: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ধুন্ধুমার। রেফারিং নিয়ে প্রবল ক্ষোভের জের পড়ল মাঠে। ম্যাচ চলাকালীন দলই তুলে নিল কেরল ব্লাস্টার্স (Keral Blasters)। শাস্তিস্বরূপ তাদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি-কে (Bengaluru FC) সেমিফাইনালের টিকিট দেওয়া হল।
ম্যাচের ৯৬ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর বিতর্কিত ফ্রি কিক নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কেরল ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। তিনি দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মাঠ ছাড়ার আগে রেফারির সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি করতে দেখা যায় কেরল ব্লাস্টার্সের ফুটবলারদের। সব মিলিয়ে বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতীয় ফুটবল।
সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু এফ সি।
শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে ছিল বেঙ্গালুরুর দাপট। রয় কৃষ্ণ সোনার সুযোগ পেয়েও ফাঁকা গোলে হেড করে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন। তবে কেরল ব্লাস্টার্স পরের দিকে পাল্টা লড়াই শুরু করে। বিশেষ করে সাহাল আব্দুল সামাদ পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামার পর। তবে বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ কেরলের সব আক্রমণ প্রতিরোধ করে দেয়।
সুনীল ছেত্রীর গোল নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। কেরল দল তুলে নেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন বেঙ্গালুরু এফসি-র অন্যতম মালিক, জেএসডব্লিউ-এর কর্ণধার পার্থ জিন্দল। তিনি লেখেন, 'সত্যি কেরল ব্লাস্টার্স? আপনারা চান ভারতীয় ফুটবলকে এভাবেই মনে রাখা হোক? আপনারা সত্যিই চান আপনাদের হাজার হাজার ভক্ত এই দলকে আর এই ম্যানেজারকে এভাবে মনে রাখুন? চূড়ান্ত হতাশাজনক। অনেক অভিনন্দন বেঙ্গালুরু এফসি'।
আত্মবিশ্বাসী ফেরান্দো
শনিবার ঘরের মাঠে প্লে অফের প্রথম বাধা পার করতে নামছে গতবারের সেমিফাইনালিস্ট এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ প্রথম আইএসএল প্লে অফে ওঠা ওড়িশা এফসি, যারা লিগ টেবলের ছ’নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে। তিন নম্বর দলের বিরুদ্ধে তারা খাতায় কলমে খুব একটা এগিয়ে না থাকলেও আইএসএলে অঘটনের শেষ নেই। তাই প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে তার জন্যও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তার খুঁটিনাটিও ভাবা হয়ে গিয়েছে। তবে ৯০ মিনিটে ম্যাচটা জেতাই আমাদের মূল লক্ষ্য”। নক আউট ম্যাচ হলেও কৌশল বা পরিকল্পনায় কোনও বড়সড় পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী নন ফেরান্দো। বলেন, “নক আউট ম্যাচ হলেও পরিকল্পনা একই থাকবে। ৯০ মিনিটের মধ্যে আমাদের যা করার করতে হবে ঠিকই। তবে সারা মরশুমে আমাদের পরিকল্পনা যে রকম ছিল সে রকমই থাকবে। অযথা অনেক কিছু বদলে কোনও লাভ হবে বলে মনে হয় না। কিছু খুঁটিনাটি ব্যাপারে আরও সড়গড় হতে হবে আমাদের।”