নয়াদিল্লি: রেফারির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় আইএসএল (ISL) ম্যাচের মাঝপথে মাঠ থেকে দল তুলে নিয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters FC)। যে কারণে মোটা অঙ্কের জরিমানা হয়েছিল তাদের। সঙ্গে কোচ ইভান ভুকুমানোভিচের জরিমানা ও ১০ ম্যাচ নির্বাসন হয়েছিল। সেই শাস্তি মকুব করার জন্য ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্লাব। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কেরল ব্লাস্টার্সের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
কেরল ব্লাস্টার্সকে ৪ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল। পাশাপাশি কোচ ইভান ভুকুমানোভিচের ওপরও পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানা এবং ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। সেই জরিমানার বিরুদ্ধে সম্প্রতি এআইএফএফের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ক্লাব এবং কোচ। কেরল ব্লাস্টার্সের আবেদন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
কেরল ব্লাস্টার্সের হেড কোচ ইভান আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁর ৫ লক্ষ টাকার জরিমানা এবং দশটি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে এআইএফএফ-এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ক্লাবের পাশাপাশি কোচের আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দিয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে এই জরিমানার টাকা দিতে হবে ক্লাব এবং কোচ দুজনকেই। এআইএফএফের কাছে এই টাকা জমা করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
গত ৩ মার্চ আইএসএলে ঘটেছিল বিতর্কিত ঘটনাটি। সেখানেই প্লে-অফ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্স এবং বেঙ্গালুরু এফসি। সেই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে সুনীল ছেত্রী আচমকা একটি ফ্রি কিক নেন। সেই ফ্রি কিক থেকে গোল করে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। কেরালার দাবি ছিল রেফারি ক্রিস্টাল জন বাঁশি বাজানোর আগেই এই ফ্রি কিকটি নিয়েছেন সুনীল। প্রতিবাদে দল তুলে নেয় কেরল ব্লাস্টার্স। ফ্রি কিক থেকে হওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে আইএসএলের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু।
আপিল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'অভিযুক্ত পক্ষের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল তা নাকচ করে দিয়েছে আপিল কমিটি। কেরল ব্লাস্টার্স ক্লাবকে শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে এই জরিমানার চার কোটি টাকা পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।'