ভাস্কো: গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করেও, স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় জয় অধরাই থেকে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। চলতি আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচেও জয় পেল না লাল-হলুদ ব্রিগেড। আজ গোলশূন্য ড্র করার ফলে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে সবার শেষেই থাকতে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। অন্যদিকে, ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে মুম্বই।
চোট-সাসপেনশনের জন্য একাধিক বিদেশি না থাকায় আজ মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলারকেই প্রথম একাদশে রেখেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ রেনেডি সিংহ। সেই বিদেশি স্ট্রাইকার ড্যানিয়েন চিমা চুকুই পার্থক্য গড়ে দিলেন। না, ভাল খেলে নয়, অতীব খারাপ পারফরম্যান্স দিয়ে। আটের দশকের শেষদিক থেকে ন’য়ের দশকের শেষদিক পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সেরা নাম ছিলেন চিমা ওকেরি। লাল-হলুদের এই নতুন চিমা তাঁর ধারেকাছেও নেই। মরসুম শুরু হওয়ার আগে চিমা নামটার জন্যই অনেক আশায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু তাঁদের হতাশ হতে বেশি সময় লাগেনি। আজকের ম্যাচেও যদি চিমার বদলে অন্য কোনও ভাল স্ট্রাইকার থাকত এসসি ইস্টবেঙ্গল দলে, তাহলে হয়তো ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত তারা। স্প্যানিশ কোচের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন প্রাক্তন তারকা রেনেডি। তাঁর সময়েও জয় অধরা, কিন্তু ৯০ মিনিট লড়াইটুকু করছেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। রেনেডির হতাশ হওয়ারই কথা। তিনি সীমিত সাধ্যের মধ্যে যেটুকু পারছেন করছেন। ভাল স্ট্রাইকার না থাকা তো আর তাঁর হাতে নেই।
মুম্বই গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আজকের ম্যাচে খুব অল্প সময়েই সেটা বোঝা গেল। লিগ টেবলে এক নম্বরে থাকা দলের সঙ্গে যে ১১ নম্বরের খেলা হচ্ছে, সেটা বেশিরভাগ সময়ই বোঝা যায়নি। ম্যাচের সেরাও হলেন লাল-হলুদের সৌরভ দাস। আদিল খান, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, মহম্মদ রফিকরাও লড়াই করলেন।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ জামশেদপুরের সঙ্গে।