কলকাতা: দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের (WB Municipal Elections)। শেষ হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়াও। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে পিছনো হতে পারে রাজ্যের চার বকেয়া পুরসভার নির্বাচন। আগেই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে কমিশনের (WB Election Commission) কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছে আদালত। ১১ জানুয়ারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।


হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে আলাদা করা নিয়ে এমনিতেই তরজা চলছে। তার মধ্যে করোনায় ভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আপত্তি উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সওয়াল-জবাব চলাকালীন, আদালত জানতে চায়, পূর্ব নির্ধারিত ২২ জানুয়ারি চার পুরসভায় নির্বিঘ্নে ভোট করানো সম্ভব কি না। এ নিয়ে কমিশনকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। ১১ জানুয়ারি এ নিয়ে ফের শুনানি করবে আদালত।


আরও পড়ুন: CNCI campus: পদবী ভুললেন সঞ্চালিকা! ক্যাম্পাসের আগেই উদ্বোধন হয়েছে, মোদির সামনে বললেন মমতা


দীর্ঘ টালবাহানার পর বিধাননগর,আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি—এই চার পুরসভায় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে কমিশন। ২২ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। হাওড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে পরে।


কিন্তু বড়দিন এবং বর্ষবরণের পর থেকে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে ভোট পিছনোর দাবি উঠতে শুরু করেছে। বামেরা জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ভোট হলে মারাত্মক বিপদ নেমে আসতে পারে। তাই ভোট আপাতত স্থগিত রাখাই সমীচীন। বিজেপি-রও একই বক্তব্য। করোনা পরিস্থিতিতে ভোট স্থগিত রাখার মতো সদর্থক পদক্ষেপ করা হলে, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।


এর আগে, ২৩ ডিসেম্বর কমিশন আদালতে জানিয়েছিল, ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখলে, তাঁদের আপত্তি নেই। তবে এ ব্যাপারে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেমে, তেমনই হবে বলে জানিয়েছেন তৃমমূল নেতৃত্ব।