কলকাতা: এক তিন, ছয়। এটা হল চলতি আইএসএল-এ এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম তিন ম্যাচে পর্যায়ক্রমে গোল হজম করার হিসেব। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুরের সঙ্গে ১-১ ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ০-৩ হার এবং তৃতীয় ম্যাচে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ৪-৬ হার। তিন ম্যাচে ১০ গোল খেয়ে ৫ গোল করেছেন ড্যানিয়েল চিমা চুকু, ড্যারেন সিডলরা। দলের অবস্থা ছন্নছাড়া। কোচ হোসে ম্যানুয়েল দিয়াজ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দলের আইএসএল-এ একটিও ম্যাচ জেতার ক্ষমতা নেই। তিনি রক্ষণ, মাঝমাঠ না আক্রমণ, কোন বিভাগে জোর দেবেন, সেটাই ঠিক করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চেন্নাইয়ান এফসি-র মুখোমুখি হতে চলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সমর্থকরা ধরেই নিয়েছেন, এই ম্যাচেও হারবে দল। অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বলছেন, তাঁরা আর এই দলের খেলা দেখবেন না। ফুটবলাররাও জোর দিয়ে বলতে পারছেন না, তাঁরা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবেন। ফলে চূড়ান্ত ডামাডোলে শতাব্দীপ্রাচীন দল।


কালকের ম্যাচের আগে আজ সাংবাদিক বৈঠকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ বললেন, ‘বিপক্ষ গোল করলেই আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি। গত ম্যাচেও একই ঘটনা দেখেছি। আমরা প্রথমে গোল করলাম, জিতছিলাম। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি সেট-পিস থেকে গোল করে ওরা ৩-১ এগিয়ে গেল। সেট-পিসে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’


এসসি ইস্টবেঙ্গল অনেক গোল খেলেও, গোল করছে। এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন দিয়াজ। রক্ষণ সামলানোই তাঁর প্রধান মাথাব্যথা। সেট-পিসের সময় যাতে ডিফেন্ডাররা মনসংযোগ হারিয়ে না ফেলেন, সেটা নিশ্চিত করাই এখন লাল-হলুদের কোচিং স্টাফের লক্ষ্য।


কালকের ম্যাচের আগে বিপক্ষকে সমীহ করছেন দিয়াজ। তাঁর বক্তব্য, ‘ওরা খুব ভাল দল। ওরা ম্যাচ জিতছে। আমাদের কোনওরকম ভুল করলে চলবে না। আমরা জিততে পারি, এই আত্মবিশ্বাসটা থাকা জরুরি।’


১০০ শতাংশ ফিট থাকলে রক্ষণের শক্তি বাড়াতে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আদিল খানকে খেলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন দিয়াজ। তবে তিনি জানালেন, জ্যাকিচাঁদ সিংহের চোট আছে। ফলে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম।