নয়াদিল্লি: ভারতেও (India) এবার করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন-হানা (Omicron)। কর্ণাটকে ২জনের শরীরে ওমিক্রনের ভাইরাস (Virus)। এই মুহূর্তে ২৯টি দেশে ৩৭৩জন ওমিক্রন-সংক্রমিত। কর্ণাটকের (Karntaka) ওমিক্রন আক্রান্ত ২জনের একজনের বয়স ৬৬। আরেকজনের বয়স ৪৬। 


ওমিক্রনের হানা কি ভারতেও? গতকাল এই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতি। বুধবার ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (Press Information Bureau) তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে জানানো হয়েছে,  লখনউ (Lucknow) বাদ দিয়ে দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরে রাত ১২টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ১১টি দেশ থেকে বিমান অবতরণ করে। মোট ৩ হাজার ৪৭৬ জন দেশে এসেছেন। প্রত্যেকের আরটিপিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে নমুনা। ১২৫ কোটি ভ্যাকসিনেশন হয়েছে বলে এদিনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কু-তে এই তথ্য দিয়ে পোস্ট করেছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। আর সেদিনই আশঙ্কা বাড়িয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল।





 


 


কোভিডের নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বেড়ে চলেছে বিশ্বে। এই আবহে দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা কিছুটা স্বস্তির আশ্বাস শোনাল। এই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ না-ও করতে পারে, এমন জল্পনা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক-গবেষকরা। বলা হয়েছে, এই ওমিক্রনের প্রভাবে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে না এখনই। তবে এখনই এই ভাইরাসের সম্পর্ক খুব বেশি কিছু জানা যায়নি কারণ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম দেখা গিয়েছে। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসস জানিয়ে দিলেন, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


সাংবাদিক বৈঠকে WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, অন্তত ২৩টি দেশ ওমিক্রন সংক্রমণের কথা জানিয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে, এই সংখ্যাটা বাড়বে। WHO এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। প্রতিটি দেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এ ব্যাপারে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, ভাইরাস এমনই হয়। ভাইরাস এভাবেই চলবে। যতক্ষণ না আমরা এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাচ্ছি।


আরও পড়ুন: Diet & Depression : ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে মেজাজ তিরিক্ষে? আসছে ডিপ্রেশন? রইল সলিউশন