ডমিনিকা: একেবারে গলি থেকে উত্থান। বাবর সঙ্গে পানিপুরির দোকানে বসেছেন। ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে টাকা দেওয়ার সামর্থ্যও ছিল না। কিন্তু নিজের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে অনন্য করে তুলেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুবাদে এবার জাতীয় দলে ডাক চলে এসেছিল। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত। ম্যাচে সেরা ইনিংস খেললেন তিনি। ১৭১ রানের ইনিংসে হাঁকালেন ১৬টি বাউন্ডার ও ১টি ছক্কা। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়া। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির সঙ্গে ক্রিজে সময় কাটানো। যেন স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে জয়সওয়ালের কাছে। 


গতকাল ম্যাচের পর ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার বলছেন, ''প্রস্তুতি দারুণ হয়েছিল আমাদের। রাহুল দ্রাবিড় স্য়ারের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম। রোহিত ভাইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছি, এটা আমার কাছে আবেগপ্রবণ মুহূর্ত। তবে এটা সবে শুরু। আমি ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পারফর্ম করে যেতে চাই। আমার এই যাত্রাপথে অসংখ্য মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। ওদের থেকে যা শিখেছি, তা পরবর্তী ম্যাচগুলোয় মেনে চলার চেষ্টা করব।''


ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের জবাবে ৪২১/৫ স্কোর তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ২৭১ রানের লিড নিয়ে। ৩৮৭ বলে ১৭১ রান করে আলজারি জোসেফের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন যশস্বী। সহ অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন। বিরাট এদিকে নিজের টেস্ট কেয়ারের ২৯ তম অর্ধশতরান পূরণ করে নেন। ১৪৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি।  শেষ পর্যন্ত বোর্ডে ৪২১/৫ স্কোর তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ২৭১ রানের লিড নিয়ে। ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তাড়া করতে নেমেই শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। ভারতীয় স্পিনারদের ভেল্কি। ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটকে (৭ রান) ফেরান অশ্বিন। তেজনারায়ণ চন্দ্রপলকে ফেরান জাডেজা। রেমন রিফারকে (১১ রান) ফেরালেন জাডেজা। জেরমাইন ব্ল্যাকউড (৫ রান) ফেরেন অশ্বিনের বলে। আথানাজে ২৮ রান করে অশ্বিনের শিকার হন। জশুয়া ডি সিলভা ১৩ রান করে সিরাজের বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরেন। লোয়ার অর্ডারে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানেই শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস।