নয়াদিল্লি: পিঠের চোটের কারণে সদ্যসমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি জসপ্রিত বুমরাহ।  বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে ভারতীয় দলে নেই এই পেসার জসপ্রিত বুমরা। জানা গেছে, বুমরাহর চোট যেভাবে সেরে উঠছে, তাতে সন্তুষ্ট চিকিত্সকরা। তাঁরা মনে করছেন, এক্ষেত্রে কোনও বুমরাহর কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের পর ২০২০-র শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং-কে। তার আগে দলের বোলিং স্তম্ভের চোট নিয়ে সুখবরই সামনে এসেছে এবং আগামী জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে মাঠে ফিরতে পারেন বুমরাহ।
সূত্রের খবর, বুমরাহর চোটের ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং তিনি সেরে উঠছেন। জানুয়ারিতে ভারতীয় দলে তাঁর ফেরার আশা রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে খেলতে পারেন তিনি।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। এরপর দুই টেস্ট, তিনটি একদিনের ম্যাচ ও পাঁচটি টি ২০ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। এই পরিস্থিতিতে বুমরার মতো খেলোয়াড় যাতে ১০০ শতাংশ ফিট থাকেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওই সূত্র বলেছে, নিউজিল্যান্ডে খেলার সময় বোলিংটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অতীতেও দেখা গিয়েছে, বড় রান করার থেকে ২০ টা উইকেট তোলাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। নিউজিল্যান্ড সফরে বুমরাহ যাতে নিজস্ব ছন্দে দলে ফিরতে পারেন, সেটাই টিম ম্যানেজমেন্ট চায় এবং এজন্য ম্যানেজমেন্টের বুমরাহর পুরোদস্তর সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে কোনও সমস্যা নেই।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও টিম ম্যানেজমেন্ট বরাবরই বুমরাহর মতো প্লেয়ারদের চোটের ঝুঁকি এড়াতে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বুমরাহর বিধ্বংসী স্পেলের পর কোহলি বলেছিলেন, প্লেয়াদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টই আমাদের কাছে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই বিশ্বকাপের পর ও (বুমরাহ) সাদা বলের কোনও ম্যাচ খেলেনি। কারণ, আমরা চেয়েছিলাম, ও টেস্টের জন্য যেন তরতাজা থাকে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে ও আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আমরা জানি, ও কতটা ভালো বোলার এবং একটা স্পেলে কীভাবে ফারাক গড়ে দিতে পারে।