চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথমটি খেলেই পিতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যাবেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দল কিছুটা শক্তি হারাবে। তবে বুমরাহ ভরসা হয়ে উঠতে পারেন ভারতীয় দলের। আগেরবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের সিরিজ জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল বুমরাহর। এবারও তিনি যে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হবেন সেটা মানছেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজেলউড-ও।
তবে হ্যাজেলউড পুরনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। তাই ভারতীয় এই ফাস্ট বোলারের কার্যকারিতা কমানোর একটি উপায় খুঁজে বের করেছেন তিনি। তার মতে, বুমরাহকে ক্লান্ত করে তুলতে পারলেই সুফল মিলবে। ২০১৭-১৮ সালে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি জিতে ভারত ইতিহাস গড়েছিল। প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেই সিরিজে ২১ উইকেট নিয়ে বুমরাহ ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
ভারতের পেস আক্রমণে বুমরাহর সঙ্গে আছেন মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবরা। নতুন তারকা নবদীপ সাইনিও তাঁদের সঙ্গে থাকবেন। চোট কাটিয়ে ফিট হতে পারলে যোগ দেবেন অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাও। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক পেস আক্রমণ।
তবে হ্যাজলউড জানিয়েছেন, বুমরাহকেই নিয়েই তাঁদের চিন্তা। বলেছেন, ‘বুমরাহ সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে। বোলিং অ্যাকশনের কারণেই সে আলাদা। সারাদিন একইরকম গতিতে বল করতে পারে। ওকে সামলানোই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বলে যেমন উইকেট নিতে পারে, পুরনো বলেও কার্যকরী। আমাদের লক্ষ্য হল, অনেক ওভার বোলিং করাতে বাধ্য করতে হবে বুমরাহকে। প্রথম দুই টেস্টেই ওকে ক্লান্ত করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আমাদের সুবিধা হতে পারে।’
গতবার দেশের মাটিতেই ভারতের কাছে হারের ক্ষত এখনো দগদগে অস্ট্রেলিয়ানদের মনে। হ্যাজেলউডের বিশ্বাস, সেই সিরিজ হারই এবার তাঁদের বাড়তি প্রেরণা দেবে। বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-ভারত লড়াইকে এখন অ্যাশেজের পাশেই রাখতে হবে। গতবার এখানে এসে সিরিজ জিতে ভারত এই উত্তেজনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। দেশের মাটিতে আমরা খুব বেশি হারি না। আগেরবারের পরাজয়ই এবার আমাদের প্রেরণা।’