বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টা এবং তার স্বামী, অভিনেতা-প্রযোজক বিষ্ণু বিষাল, এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন। এই দম্পতির কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে মীরা। কিন্তু মাতৃত্বের আনন্দের মাঝেই জ্বালা এক মানবিক উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তিনি সম্প্রতি সরকারি এক হাসপাতালে বুকের দুধ দান করেছেন, যা ব্যবহার হবে মা-বিহীন নবজাতক এবং প্রিম্যাচিওর বা অসুস্থ শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে।

জ্বালা নিজেই এই খবরটি শেয়ার করেছেন তার এক্স (X) হ্যান্ডেলে। তিনি লিখেছেন, “বুকের দুধ প্রাণ বাঁচায়। অকালে জন্ম নেওয়া বা অসুস্থ শিশুর জন্য এই দুধ জীবন বদলে দিতে পারে। যদি আপনার দান করার ক্ষমতা থাকে, তবে আপনি একজন নায়ক হতে পারেন।” রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০ লিটার দুধ দান করেছেন, যা নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, “আপনার এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।” জ্বালা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, স্তন্যদুগ্ধ জীবন বাঁচায়। অসুস্থ বাচ্চাদের জন্য দুধ জীবন বদলে দিতে পারে। যারা দিতে পারেন, তারা কারও পরিবারের জন্য এমন উপকার করতে পারেন, যে ঋণ শোধ করার নয়। দেবদূতের মতো কাজ করে কারও কারও জীবনে এক ফোঁটা দুধ। তাই তিনি এক দু লিটার নয়, ৩০ লিটার দুধ দান করে নজির গড়লেন। 

এপ্রিলের ২২ তারিখে, চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর দিন, বিষ্ণু বিষাল তাদের কন্যা মীরার আগমনের সুখবর দেন। তিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমরা এক কন্যা সন্তানের আশীর্বাদ পেয়েছি। আর্যন এখন বড় ভাই। একই দিনে আমরা ভগবানের এই উপহারকে স্বাগত জানালাম। সকলের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ প্রয়োজন।”

জ্বালা ও বিষ্ণুর এই সুখবরের পেছনে রয়েছে এক বিশেষ গল্প। দুই বছর ধরে সন্তান লাভের চেষ্টা করেও সফল হননি জ্বালা। বয়স ৪১ হওয়ায় তাকে একাধিক IVF ট্রিটমেন্ট নিতে হয়। পাঁচ-ছয়বার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান।          

বিষ্ণু এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমির স্যার আমাদের মুম্বাইয়ে ডাকেন এবং একজন ভালো ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। জ্বালা প্রায় ১০ মাস তার বাড়িতেই ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবারের মতো দেখাশোনা করেছেন। অবশেষে কয়েকবারের চেষ্টা শেষে জ্বালা গর্ভবতী হন।”