নয়াদিল্লি: পূর্বাভাস ছিলই। তবে ভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যে এতটা একপেশে হয়ে যাবে, সেটা সম্ভবত ভাবতে পারেননি অনেকেই। কারণ, ফেভারিট কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে যিনি নির্বাচন লড়ছিলেন, তিনি ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি। বাইচুং ভুটিয়া।
সেই বাইচুংকে হেলায় হারিয়ে ফেডারেশনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। ৩৩-১ ভোটে পাহাড়ি বিছে নামে খ্যাত বাইচুংকে হারিয়েছেন কল্যাণ।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থার ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। নির্বাচনে আগাগোড়া ফেভারিট ছিলেন কল্যাণ। যিনি বাংলার বিজেপির নেতাও। কলকাতার দুই প্রধানে খেলা কল্যাণের মাথায় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বরাভয় রয়েছে বলেই তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিতই মনে করা হচ্ছিল। তবু অনেকে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কারণ কল্যাণের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন বাইচুং। যিনি ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি।
এআইএফএফ-এর শীর্ষপদে আবার এক বাঙালিকে দেখা যেতে চলেছে। শেষ বার সভাপতি হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন কর্নাটক রাজ্য সংস্থার সভাপতি এন এ হ্যারিস। কোষাধ্যক্ষ হলেন কিপা অজয়।
সভাপতি পদে কল্যাণ যে অনেক বেশি ভোট পাবেন, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ ছিল না। বেশির ভাগ রাজ্য সংস্থার সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই। ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সমর্থন আদায় করে নিয়েছিলেন কল্যাণ। ভোটের ফলেও তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে। বাইচুং দাঁড়াতে পারেননি। দু’টি সংস্থা ছিল তাঁর পিছনে। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর পাশে দাঁড়ানো রাজ্য সংস্থারও আস্থা অর্জন করতে পারেননি বাইচুং ।
ফুটবল কেরিয়ারে অবিশ্বাস্য সব গোল করে হারা ম্য়াচ জিতিয়ে দিয়েছেন বাইচুং। কিন্তু নির্বাচনী ময়দানে পারলেন না। কার্যত গো হারা হারলেন। ভারতীয় ফুটবল সংস্থার নির্বাচনে মোট ৩৪টি ভোট। তার মধ্যে ৩৩টি ভোটই পেয়েছেন কল্যাণ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যে কোনও দলকে ধ্বংস করতে পারে, সতীর্থকে মাঠেই কুর্নিশ কোহলির