নয়াদিল্লি: ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচন নিয়ে ফের ঝড় উঠতে পারে।


সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ) কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব দিল অ্যাড হক কমিটিকে। যে কমিটির প্রধান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। তিন সদস্যের কমিটির বাকি দুজন হলেন অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামী। এর আগে মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচনও করেছিল কপিলদের এই কমিটি। ডব্লিউ ভি রামনকে মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ বেছে নিয়েছিল অ্যাড হক কমিটি। বিতর্কও হয়েছিল তা নিয়ে। প্রশাসকদের কমিটির অন্যতম সদস্য ডায়ানা এডুলজি সেই নির্বাচনকে অসাংবিধানিক বলে তোপ দেগেছিলেন। দাবি করেছিলেন, একমাত্র সিওএ-রই এক্তিয়ার রয়েছে কোচ নির্বাচন করার। দুই সদস্যের প্রশাসকদের কমিটির এক সদস্যের এমন আক্রমণাত্মক বিবৃতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশের ক্রিকেটমহলে। অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রশাসকদের কমিটির প্রধান বিনোদ রাইকে নিয়েই হয়তো প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এডুলজি।

বোর্ডের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ফের সেই অ্যাড হক কমিটিকেই বিরাট কোহলিদের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা ফের সিওএ-র বিভাজনকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারে বলে কারও কারও আশঙ্কা। প্রশাসকদের কমিটিতে রবি থোড়গে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এর আগের দুবার কোহলিদের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব সামলেছে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি)। যদিও সেই কমিটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের বিরুদ্ধেই স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সচিন সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও সৌরভ ও লক্ষ্মণকে উপদেষ্টা কমিটির পদ, আইপিএলে মেন্টরের দায়িত্ব ও ধারাভাষ্যকারের চাকরির মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে। সেই ব্যাপারটার ফয়সালা এখনও হয়নি।

বোর্ডের কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, অ্যাড হক কমিটির দুই সদস্য – কপিল ও শান্তার বিরুদ্ধেও স্বার্থ সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগ উঠতে পারে। কারণ বোর্ডের নতুন সংবিধান অনুযায়ী এই দুজনকে ক্রিকেটারদের সংগঠন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে। ক্রিকেটারদের সংগঠন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় দলের কোচ বাছাইও করেন, সে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে।

মঙ্গলবারই হেড কোচ-সহ জাতীয় দলের সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বোর্ড। বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুবছর কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকলে এবং বয়স ৬০ বছরের কম হলে তবেই আবেদন করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ জুলাই। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কথা মাথায় রেখে হেড কোচ রবি শাস্ত্রী, বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে।

তারপরই কোহলিদের দায়িত্ব নেবেন নবনির্বাচিত কোচ। শাস্ত্রীই দায়িত্বে থেকে যাবেন, নাকি অন্য কারও ওপরে আস্থা দেখানো হবে, সেটাই ঠিক করবে কপিলদের কমিটি। শাস্ত্রী-অরুণ-বাঙ্গার-শ্রীধরদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তাঁরা এমনিই কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের পদপ্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হবেন।