নয়াদিল্লি : ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অনুরোধ জানালেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। সঙ্গে তিনি এও জানান, দলে তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীরা যেমন- মহিন্দর অমরনাথ, সুনীল গাওস্কর, সন্দীপ পাটিল, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মদন লাল, রবি শাস্ত্রী ও কীর্তি আজাদরা নিজেদের মতো করে অংশুমানের জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তাই BCCI-ও বিষয়টি দেখবে বলে আত্মবিশ্বাসী কপিল।
স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিল দেব বলেন, "খুবই দুঃখের ও হতাশাজনক বিষয়। আমি কষ্ট পেয়েছি। কারণ, আমি অংশুর সঙ্গে খেলেছি। ওঁকে এই অবস্থায় দেখতে পারব না। কারও ভোগা উচিত নয়। আমি জানি, বোর্ড বিষয়টি দেখবে। কাউকে আমরা জোর করছি না। অংশুকে যে সাহায্যটাই করবেন তা আপনার অন্তর থেকে আসা উচিত। ভয়ঙ্কর সব জোরে বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে মুখে-বুকে আঘাত খেয়েছে অংশু। এখন আমাদের ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমি নিশ্চিত, আমাদের ক্রিকেট ভক্তরা ওঁকে আশাহত করবেন না। ওঁরা অংশুর আরোগ্য কামনা করবেন।"
তবে অংশুমানের মতো পরিস্থিতি হলে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সাহায্যের কোনও নিয়ম না থাকার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেছেন। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে পেনশন ছেড়ে দিতেও রাজি কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডার।
কপিল বলেন, "দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের কোনও সিস্টেম নেই। এটা দেখে ভাল লাগে যে এখনকার খেলোয়াড়রা ভাল টাকা উপার্জন করছেন। সাপোর্ট স্টাফদেরও ভাল টাকা দেওয়া হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে। কিন্তু, আমাদের সময়ে বোর্ডের টাকা ছিল না। তাই আজ, অতীতের সিনিয়র খেলোয়াড়দের যত্ন নেওয়া উচিত বোর্ডের। যদি একটা ট্রাস্ট গঠন করা হয়, তাঁরা সেখানে তাঁদের টাকা রাখতে পারবেন। কিন্তু, আমাদের কোনও সিস্টেম নেই। একটা ট্রাস্ট থাকা উচিত। আমার মনে হয়, বিসিসিআই এটা করতে পারে। পুরনো ও নতুন খেলোয়াড়দের দেখা উচিত। পরিবার চাইলে আমাদের পেনসনের টাকাও তুলে দিতে আমরা প্রস্তুত।"
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ১৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন অংশুমান গায়কোয়াড়। পরে ভারতের হেড কোচও ছিলেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।