গোয়া: শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জেতা ম্যাচ ড্র করে বসল ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে শেষ মিনিটে সংযোজিত সময়ে ইস্টবেঙ্গল গোল হজম করে বসল। আগের ম্যাচেই জোড়া গোল করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার কেরলের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলেও পয়েন্ট নষ্ট করে মাঠ ছাড়ল ফাউলারের দল।


১৪ মিনিটেই এদিন প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। মাঘোমা রফিকের উদ্দেশে দারুণ পাস বাড়িয়েছিলেন। সেই বল রফিক স্কোয়ার পাস করেন ফার বক্সে। তবে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন বাকারি কোনে।

আত্মঘাতী গোলে লিড নেওয়ার পর গোটা ম্যাচ জুড়েই ইস্টবেঙ্গল একাধিক সুযোগ তৈরি করে। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি লাল হলুদ বাহিনী। গত ম্যাচের একাদশ থেকে এদিন চারটে পরিবর্তন করেন কোচ ফাউলার। চোট সরিয়ে ফেরানো হয় ফক্সকে। জাইরুকে প্রথমবার খেলানো হয় একাদশে। জেজে এবং বলবন্তকে সরিয়ে আক্রমণে নামানো হয় সুরচন্দ্র এবং হাওবেমকে।

বিরতির পর আক্রমণে চাপ বাড়ায় কেরল। টানা আক্রমণ রুখে দিচ্ছিলেন স্কট নেভিলরা। তবে একদম শেষ লগ্নে সাহালের সহায়তা থেকে গোল করে যান জিকসন সিং।

কিন্তু হাতের মুঠোয় এসে যাওয়া তিন পয়েন্ট মাঠেই ফেলে আসতে হল। সন্তুষ্ট থাকতে হল মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে। টেবিলে একধাপ উঠে দশ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষে রবি জানিয়ে গেলেন জয় পেয়ে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল এদিন। সেটাই ন্যায়বিচার হত। কিন্তু এক সেকেন্ডের মনোযোগের অভাব পুরো চিত্রটাই পাল্টে দিল। তবুও হতাশ হতে রাজি নন তিনি। দল কতটা উন্নতি করেছে আজকের ম্যাচ থেকেই পরিষ্কার। পাশাপাশি যে পরিমান সুযোগ ছেলেরা তৈরি করেছে তাতে ফিনিশিং আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ। ম্যাচ শেষে দেখা গেল মাঠে হতাশ হয়ে শুয়ে কয়েকজন লাল-হলুদ ফুটবলার। সেটাই স্বাভাবিক। এক সেকেন্ডের ভুল কেড়ে নিল জয়ের স্বপ্ন।