মাঞ্জেরি: সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে হার বাংলার। কেরলের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে হেরে গেল রঞ্জন ভট্টাচার্যের দল। ম্যাচের ২ অর্ধেই কোনও দল গোল করতে পারেনি। এরপর অতিরিক্ত মিনিটে খেলা গড়ালে প্রথমে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ওঁরাও। কিন্তু অতিরিক্ত মিনিটের দ্বিতীয় অর্ধেই সেই গোলশোধ করে দেন কেরলের বিবিন আজওয়ান। খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানে ৫-৪ গোলে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল কেরল।
নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ২ দলই
কেরল এদিন ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। চেনা সমর্থকদের সমর্থন, চেনা মাঠ, তার ওপর আবার লিগ পর্যায়ে বাংলাকে হারিয়ে আসায় কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নেমেছিল কেরলের দলটি। যদিও বাংলা দলও ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেছিল। পরপর বিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন বাংলার স্ট্রাইকাররা। কিন্তু বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেন বাংলার ফুটবলাররা। ফারদিন মোল্লা ও নবী হোসেন খান সুযোগ মিস করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও ২ দলের কেউই গোল করতে পারেননি। বাংলার মহিতোষ রায় সুযোগ মিস করেন। অন্যদিকে কেরলের হয়ে একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন জয়রাজ। তাঁর জোরালো শট আটকে দেন প্রিয়ন্ত কুমার সিংহ। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেখানেই ৯৬ মিনিটের মাথায় দিলীপের গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। যখন মনে হচ্ছিল যে বাংলা ৩৩ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে সন্তোষে। ঠিক সেই সময়ই খেলার ঠিক চার মিনিট আগে গোলশোধ কেরলের। হলুদ জার্সিধারীদের জন্য গ্যালারি তখন ফেটে পড়েছে।
খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দিয়ে বাংলার আশায় জল ঢেলে দেন সজল বাগ। কেরল একটিও গোল মিস করেনি। একটিও গোল বাঁচাতে পারেননি সারা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা প্রিয়ন্ত সিং। শেষ পর্যন্ত ৫-৪ ফলে চ্যাম্পিয়ন হল কেরল। ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি জেতা হল না বাংলার। রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে।