অঞ্জন চক্রবর্তী, কলকাতা : উপলক্ষ্য উৎসব। ইদের (Eid 2022) আনন্দ আরও একটু বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (west Bengal Government)। হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) এক মেসেজেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে বিরিয়ানি-চাঁপ-কাবাব সহ এলাহি ইফতার (Iftaar)। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন (Panchayat and Rural Development) দফতরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল কর্মিহেনশিভ এরিয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (West Bengal Area Development Corporation) চালু করেছে ইদ স্পেশাল মেনু। নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করলেই এলাহি খানা-পিনা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের দুয়ারে।


কী কী থাকছে মেনুতে


চিকেন বিরিয়ানি (চিকেন, ডিম ও আলু-১টি করে), চিকেন চাপ (১ পিস), মালাই কাবাব (৪ পিস), হরিয়ালি কাবাব (৪ পিস) ও সিমুই পায়েস (১০০ মিলি) মিলিয়ে কম্বো ইদ স্পেশাল ইফতারের এই পদ তৈরি করা হয়েছে। একটি প্লেটের দাম ৪২৫ টাকা।


কীভাবে করবেন অর্ডার


ওয়েস্ট বেঙ্গল কর্মিহেনশিভ এরিয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (CADC)-র পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে চারটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। যেখানে মেসেজ করলেই বাড়ি বয়ে পৌঁছে যাবে খাবার। ইদ স্পেশাল যে অফার চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। রাত ১০ টার মধ্যে করতে হবে অর্ডার। তাহলেই পরের দিন রাত ৮ টার মধ্যে পৌঁছে যাবে খাবার।


নম্বরগুলি হল- 8170887794, 9735929413, 9163123556, 6290225859


সারাবছরই হোম ডেলিভারি


ইদের ইফতার মিস করলেও চিন্তা করার অবশ্য কোনও কারণ নেই। সিএডিসি-র পক্ষ থেকে সারাবছরই চালু থাকে খাবারের হোম ডেলিভারি। সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বয়স্কদের জন্য সারা মাসের খাবারও সরবরাহ করে থাকেন তারা। পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যদেরও খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়ি বয়ে।


শুরু ঠিক কীভাবে


প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই হোম ডেলিভারির কাজ। যা বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় ও সিএডিসি কর্মচারীদের সুবাদে এগিয়ে চলেছে।


সিএডিসি-র এক আধিকারিক জানাচ্ছিলেন, 'করোনাকালে বয়স্কদের বাড়ি বাড়ি যাতে খাবার পৌঁছে যায় সেই উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন সুব্রতবাবু। তারপর থেকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এই প্রক্রিয়া। সারাবছর খাবার বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে থাকি। গত পয়লা বৈশাখেও ছিল প্ল্যাটারের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা।'


আরও পড়ুন- ইদ-উল-ফিতরের তাৎপর্য কী? কেন প্রতিবছর আলাদা দিনে পালিত হয় এই উৎসব?