কেশবের বাবা আত্মানন্দ ডারবানের শিক্ষক। তিনি নাটাল বি দলের উইকেটকিপার ছিলেন। স্বভাবতই পূর্বপুরুষের দেশের একজন ক্রিকেটার তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তিনি খুশি হয়েছিলেন। তিনি সেদিনের কথা আজও ভোলেননি। তাঁর মোবাইল ফোনে এখনও মোরের সঙ্গে কেশবের ছবি সযত্নে রাখা আছে। এ প্রসঙ্গে আত্মানন্দ বলেছেন, ‘কেশবের হাত ধরে সেটা দেখে মাথা নেড়েছিলেন কিরণ। তিনি বলেছিলেন, ও ক্রিকেট খেলবে। এরপর আমরা পিছনে ফিরে তাকাইনি। কিরণের ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয়েছে।’
কেশব দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় মোরেও খুশি। তিনি বলেছেন, ‘ওই পরিবারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। ২০১৬ সালে যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার সুযোগ পায় কেশব, তখন আত্মা আমাকে সেই ছবিটা পাঠায়। ওর ছেলের বিষয়ে আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা মনে করিয়ে দেয়।’
কেশবের সঙ্গে মোরের দেখা করা অবশ্য সহজ ছিল না। কারণ, ভারতের বাইরে ডারবানেই সবচেয়ে বেশি ভারতীয়র বাস। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে সবাই উত্তেজিত ছিলেন। সবাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। ভাগ্যচক্রে একটি নৈশভোজে প্রবীণ আমরে, সচিন তেন্ডুলকর, কিরণ মোরে, মহম্মদ আজহারউদ্দিনদের সঙ্গে দেখা করে ছবি তোলার সুযোগ পান আত্মানন্দ। তিনি মোরেকে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। মোরে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন।
আত্মানন্দর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, তাঁর ছেলে এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে কেশবের প্রথম টেস্ট ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে পারবেন না তাঁর বাবা। ডারবানে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকায় তাঁর পক্ষে কেপ টাউনে যাওয়া সম্ভব হবে না।