মুম্বই: মরসুমের প্রথম ম্যাচে ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল গুজরাত জায়ান্টসকে (Gujarat Giants)। সেই ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা পরেই, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও ইউপি ওয়ারিয়ার্সের (UP Warriorz) বিরুদ্ধে ফের হৃদয়ভঙ্গ গুজরাতের। অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের অনুপস্থিতিতেই ব্যাট হাতে হরলীন দেওল এবং বল হাতে কিম গার্থের (Kim Garth) পাঁচ উইকেটে ভর করে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাত। তবে গ্রেস হ্যারিসের (Grace Harris) দুরন্ত অর্ধশতরান সেই আশা ভেস্তে দিল। গ্রেস ও সোফি একেলস্টানের অপরাজিত ৭০ রানের পার্টনারশিপে তিন উইকেটে জয় পেল ইউপি।


খারাপ শুরু


১৭০ রান তাড়া করতে নেমে ইউপির শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি মাত্র সাত রানে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার শ্বেতা শেরাওয়াতও পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি। থালিয়া ম্যাকগ্রা খাতাই খুলতে পারেননি। ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ইউপি। তিন উইকেট নিয়ে বল হাতে আগুন ঝরান কিম গার্থ। এমন অবস্থায় ইনিংসের হাল ধরেন দীপ্তি শর্মা ও কিরণ নভগিরে। চতুর্থ উইকেটে দুইজনে মিলে ৬৬ রান যোগ করেন। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল এই পার্টনারশিপ ইউপিকে জয়ের দিকে নিয়ে যাবে, তখনই ছন্দপতন। 


স্বপ্নের পার্টনারশিপ


১২তম ওভারে ১১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে দীপ্তিকে সাজঘরে ফেরান মানশি জোশী। ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে পরের ওভারেই গার্থের বলে সাজঘরে ফিরতে হয় কিরণকেও। পরের বলেই শিমরন শেখকে শূন্য রানে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেটটি নেন গার্থ। ১০৫ রানে সাত উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ইউপি। এখান থেকেই সোফির সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন গ্রেস। মাত্র ২৬ বলে চোখধাঁধানো ৫৯ রানের ইনিংসে ইউপিরে কাঙ্খিত জয় এনে দেন গ্রেস। ১২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সোফি। অষ্টম উইকেটে গ্রেস-সোফির এই পার্টনারশিপই এক বল বাকি থাকতে ইউপিকে রোমহর্ষক ম্যাচটি জিততে সাহায্য করে।


প্রথম ইনিংস


টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাত শুরুটা বেশ ভালই করেছিল। ওপেন করতে নেমে মেঘনা ব্যাট হাতে পাঁচটি চার হাঁকান। তাঁর ওপেনিং পার্টনার সোফিয়া ডাঙ্কলি তুলনামূলক মন্থর গতিতেই এগোচ্ছিলেন। তবে চতুর্থ ওভারে মেঘনা-সোফিয়ার ৩৪ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন দীপ্তি শর্মা। পরের ওভারেই বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি বোলার সোফিয়া একেলস্টোনের মেঘানাকে ২৪ রানেই সাজঘরে ফেরান। তিনিই অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে ৮ রানে ফেরান। ৫০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে গুজরাত।


থালিয়া ম্যাকগ্রা সুষমা ভার্মাকে ৯ রানে ফেরালে গুজরাতের স্কোর ১০.৩ ওভারে দাঁড়ায় ৭৬/৪। অপরপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও হরলীন দেওল কিন্তু নিজের ইনিংল চালিয়ে যান। তাঁকে সঙ্গ দেন অ্যাশলে গার্ডনার। দুইজনে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন। দীপ্তি শর্মাই গার্ডনারকে ২৫ রানে ফেরান। হরলীনও নিশ্চিত দেখানো অর্ধশতরান মাঠে ফেলে আসেন। ৪৬ রানে তাঁকে আউট করেন অঞ্জলি সর্বানি। তবে দয়ালান হেমলতা গুজরাতকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন। তাঁর ১৩ বলে ২১ রানের ছোট্ট ইনিংসে গুজরাত ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। 


আরও পড়ুন: তারা নরিসের আগুনে বোলিংয়ে ঝলসে গেল আরসিবি, ৬০ রানে জিতল দিল্লি