DC-W vs RCB-W: তারা নরিসের আগুনে বোলিংয়ে ঝলসে গেল আরসিবি, ৬০ রানে জিতল দিল্লি

WPL 2023, DC-W vs RCB-W: চার ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নিলেন তারা।

Continues below advertisement

মুম্বই: ডব্লিউপিএলের (WPL 2023) দ্বিতীয় ম্যাচে ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৩ রানেই থেমে গেল আরসিবির (Royal Challengers Bangalore) ইনিংস। ৬০ রানে জয় পেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। যুক্তরাষ্ট্রের তারা নরিস (Tara Norris) বল হাতে পাঁচ উইকেট নিলেন। তাঁর বোলিংয়ের সুবাদেই জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)।

Continues below advertisement

ভাল শুরু

বড় রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি শুরুটা কিন্তু মন্দ করেনি। আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা ও সোফি ডিভাইন ওপেনিংয়ে ৪১ রান যোগ করেন। তবে পরপর দুই ওভারেই স্মৃতি (৩৫) ও সোফিকে (১৪) সাজঘরে ফেরান অ্যালিস ক্যাপসি। এক চোখ ধাঁধানো ক্যাচ ধরেই সোফিকে সাজঘরে ফেরান শেফালি ভার্মা। সোফি তো প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন। এরপরেই শুরু হয় তারা নরিসের দাপট। ম্যাচের ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়েই জোড়া সাফল্য পান তারা। সেট অ্যালিস পেরি (৩১) ও দিশা কাশাতকে (৯) ফেরান তিনি। 

তারার দাপট

দিন কয়েক আগে সমাপ্ত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র ভারতীয় হিসাবে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ। এদিন তারার দাপটে তিনিও দুই রানের বেশি করতে পারেননি। তারা নিজের দ্বিতীয় ওভারে রিচার পাশাপাশি কণিকা আহুজাকেও একই ওভারে শূন্য রানে ফেরান। পরপর দুই ওভারে তারার দাপট আরসিবির কোমর ভেঙে দেয়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি আরসিবি। শেষের দিকে হায়দার নাইট ও মেগান শ্যুট অষ্টম উইকেটে ৫৪ রান যোগ করেন বটে, তবে তা আরসিবির জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। 

হায়দারকে ৩৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়েই নিজের পঞ্চম উইকেট নেন তারা। মেগান ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। দিল্লির হয়ে তারা পাঁচ উইকেট, অ্যালিসের দুই উইকেট ছাড়াও শিখা পাণ্ডে একটি উইকেট পান।

প্রথম ইনিংস

এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। তবে নতুন বলের লাভ তুলতেই পারেননি আরসিবির বোলাররা। বরং দুই দিল্লি ওপেনার শেফালি ভার্মা (Shafali Verma) ও মেগ ল্যানিং (Meg Lanning) ব্যাট হাতে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন। ৫.৩ ওভারেই ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে দিল্লি। শেফালির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের শিকার হন শোভানা আশা। নবম ওভারে তাঁর ওভারেই ২২ রান তোলে দিল্লি। শেফালি একাই ১৭ রান করেন।

শেফালি, ল্যানিংয়ের দাপটে ১০ ওভারের আগেই ১০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে দিল্লি। মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন ল্যানিং। দুই দিল্লির ওপেনার মিলেই ১৬২ রান যোগ করেন। শেষমেশ ইনিংসের ১৫তম ওভারে আরসিবিকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ত হায়দার নাইট। একই ওভারে দুই দিল্লি ওপেনারকেই সাজঘরে ফেরান তিনি। মেগ ল্যানিং ৪৩ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন, ভারতের তারকা ওপেনার শেফালি ৪৫ বলে ৮৪ রান করেন।

এই দুই তারকার ব্যাটে ভর করেই বড় রান তুলতে সক্ষম হয় দিল্লি। তবে শেষের দিকে ব্যাট হাতে জেমাইমা রডরিগেজ ও মারিজানে কাপ তৃতীয় উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাঁরা দুইজনে মিলে ৬০ রান যোগ করেন। এঁদের সুবাদেই ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় দিল্লি। 

আরও পড়ুন: ৫৪ বছর পর ফের সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটক

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola